সঞ্জীব ঘোষ, নদিয়া: গতকাল সন্ধ্যায় টোটো চালকের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার ফের চাঞ্চল্য রানাঘাটে। রানাঘাটের (Ranaghat) আনুলিয়াতে আতঙ্ক ছড়াল জোড়া খুনের ঘটনায়। মৃত সুমন চক্রবর্তীর পরিবারের দাবি, কেউ বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে তাঁকে এবং তাঁর গাড়ির চালককে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ চালককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গাড়ির মালিক সুমন চক্রবর্তী। কিন্তু সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি এবং গাড়ির চালক রূপক দাসের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ দুটি উদ্ধার করে স্থানীয় রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই দুজন দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় মোবাইলে যোগাযোগ করে দুজনের পরিবার। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁদের সঙ্গে। এর পরই উদ্ধার হল তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ। দুজনকেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁদের শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানোর চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাতও লেগেছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিস মজুমদার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জানান, ”কেউবা কারা বাইরে থেকে মেরে এনে এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ধারালো কোনও কিছু দিয়ে কোপানো হয়েছে। দুজনের মাথাতেই ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্ত দলা বেঁধে রয়েছে।” কারা রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে? ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ ছাড়া আর কোনও বিশেষ শত্রু সুমন চক্রবর্তীর ছিল কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃত সুমনের আত্মীয় রূপক চক্রবর্তীর দাবি, সুমনের কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কিনা তা তাঁদের অজানা। স্বাভাবিক এমন এক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুই পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক শোকের ধাক্কা সামলে উঠে পুলিশকে সর্বতোভাবে সহায়তা করবেন তাঁরা, যাতে দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়ে।