• কল সেন্টারের আড়ালে চলছিল সেক্সটর্শন চক্র, পর্দাফাঁস করল পুলিশ, গ্রেফতার ৫
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • গত সপ্তাহে রাজারহাটে একটি মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করেছিল পুলিশ। আর এবার সেই রাজারহাটেই মিলল সেক্সটর্শন চক্রের সন্ধান। কল সেন্টারের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাটের থানা এলাকায় এই সেক্সটর্শন চক্রটি চালানো হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। এরপরেই সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং বাকি চারজন হল মহিলা। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সিম বক্স এবং ওয়াকি টকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ও তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের ধৃতদের নাম হল- দেগঙ্গার বাসিন্দা ইমরান তরফদার । পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পেরেছিল, সেখানে কল সেন্টারের আড়ালে অসামাজিক কাজ করা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই ওই কল সেন্টারে হানা দেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন রাজারহাট থানার তদন্তকারীরা। 

    পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হল নির্দিষ্ট কাউকে প্রথমে ভিডিয়ো কল করত তারা । এরপর কথোপকথন চলাকালীন স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে সেই কল রেকর্ড করত। তারপর সেই রেকর্ডিং ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করত। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই তাদের টাকা দিয়েও দিতেন। তবে এভাবেই টাকা খোয়া যাওয়ায় সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রের পর্দা ফাঁস করে।সাইবার-অপরাধের দুনিয়ায় তাকে বলা হয়  সেক্স টর্শন। বলা বাহুল্য, লজ্জার বশবর্তী হয়ে এবং সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অনেকেই চুপচাপ টাকার দাবি মিটিয়ে দিতেন। ফলে রমরমিয়ে তাদের করবার। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশে তৎপরতায় এই চক্রের পর্দা ফাঁস হল। 

    ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩২টি মোবাইল ফোন, ২৫২টি সিম কার্ড, একটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ৪৭টি ডেবিট কার্ড, ১৭টি পাসবই, ৩২টি সিম বক্স ও ১৭টি ওয়াকি-টকি। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ। বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)