খাস কলকাতায় চলন্ত ট্রেনে নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। শুক্রবার পার্ক সার্কাস স্টেশনে শিয়ালদাগামী ট্রেনের মধ্যে এক যুবক একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। একই ধরণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা স্টেশনেও। সেখানে এক তরুণীকে মায়ের সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সুভাষগ্রামে কোচিং সেন্টার থেকে ট্রেনে করে শিয়ালদা আসছিলেন ছাত্রীটি। ট্রেন পার্ক সার্কাস স্টেশনের কাছে পৌঁছতে এক যুবক চলন্ত ট্রেনে তার শ্লীলতাহানি করে। এমনকী নাবালিকার ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। ঘটনাচক্রে ওই ট্রেনেই অন্য কামরায় ছিল ছাত্রীর মা ও বাবা। শিয়ালদা স্টেশনে নেমে বাবা - মাকে গোটা ঘটনা জানান তিনি। এর পর জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা স্টেশনে এক কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মেছেদা স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজের ওপর এক যুবক তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। তরুণীর মা বাধা দিলে তাঁকেও নিগ্রহ করা হয়। এমনকী তরুণী চিৎকার করলেও রেলের কোনও নিরাপত্তারক্ষীর দেখা মেলেনি বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত ছাত্রী। এই ঘটনায় পাঁশকু়ড়া GRPতে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
একের পর এক এই ঘটনায় রেল পরিসরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে রাজ্য পুলিশের তৎপরতা নিয়েও। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে ছেলেখেলা রাজ্যজুড়েই ঘটছে। রেলের পরিসরে ঘটনা ঘটলে রেলের দায় থাকে নিশ্চই। তবে কামদুনিকাণ্ডের মতো ঘটনায় সরকার কৌশলে যে ভাবে অভিযুক্তদের রেহাই পাইয়ে দিয়েছে তাতে নির্দিষ্ট জায়গায় বার্তা চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নারী নির্যাতনকে কখনও ‘ছোট্ট ঘটনা’ বলেছেন, কখনও বলেছেন ‘মেয়েটি গর্ভবতী ছিল’। দুষ্কৃতীরা বুঝে গিয়েছে তৃণমূল সরকার তাদের পাশে রয়েছে। তৃণমূল সরকারের জমানায় তারা নিরাপদ। তাই এসব করার সাহস পাচ্ছে।