সংবাদদাতা, বর্ধমান: ভাতার থানার রামপুরে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম খেলু সর(৫৪)। তিনি পেশায় খেতমজুর ছিলেন। দিনকয়েক আগে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে তিনি মারা যান। সাংসারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
মন্তেশ্বরে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে মৃত্যু: মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামে মাত্রাতিরিক্ত মানসিক রোগের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম আনছার আলি শেখ(৪৩)। শনিবার সকালে ওষুধ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। ঘটনার বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। কী কারণে তিনি একসঙ্গে অনেকগুলি ওষুধ খেলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
নাদনঘাটে আত্মঘাতী যুবক: নাদনঘাট থানার নিমার গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম মিঠুন ঘোষ(৩৬)। শনিবার দুপুরে গ্রামের খেলার মাঠে গিয়ে তিনি কীটনাশক খান। অচৈতন্য অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি মারা যান। কেন তিনি কীটনাশক খেলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি পরিবারের লোকজন।
ভাতারে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু: ভাতার থানার কুলনগরে ডাম্পারের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তাঁর জামাই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুলনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃতের নাম অচিন্ত্য মাঝি(৪৪)। ভাতার মুরালীপুরে তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে কুলনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাঁটুর চিকিৎসা করিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে বাইকে চেপে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই একটি ডাম্পার বাইকটিকে ধাক্কা মারে। তাতে তিনি ও তাঁর জামাই জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের কুলনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে বর্ধমান শহরের পাকমাড়া গলির একটি নার্সিংহোমে অচিন্ত্যকে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। সেখানেই শনিবার রাতে তিনি মারা যান।