সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: কাজের পারফরম্যান্সের নিরিখে নদীয়ায় ৮০ জন পঞ্চায়েত কর্মীকে বদলি করা হল। নির্মাণ সহায়ক, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি, পঞ্চায়েত সহায়ক, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট এই চার শ্রেণির কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। ২ আগস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থানে যোগদানের জন্য কর্মচারীদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যাদের পারফরম্যান্স খারাপ তাদেরই বদলি করা হয়েছে। গত ৩ বছর একই এলাকায় যারা কাজ করছে, তাদেরও বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকায় নাম থাকা বেশিরভাগ কর্মীরই পারফরম্যান্স খারাপ। তারা পঞ্চায়েত এলাকায় নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। তাতে পঞ্চায়েতের কাজ ঠিকঠাক হচ্ছিল না। জেলা প্রশাসনের কাছে বেশ কিছুদিন ধরে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসছিল। অবশেষে জুলাই মাসে দু’ দফায় মোট ৮০ জন কর্মচারীকে বদলি করা হল। প্রথম দফায় ৩৬ জন কর্মচারীকে বদলি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ৪৪ জনকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ৭ জন, নির্মাণ সহায়ক ২৩ জন, সেক্রেটারি ১০ জন ও সহায়ক ৪০ জন। পঞ্চায়েতের পরিষেবা পেতে ঠিক কী সমস্যা হচ্ছিল? জানা গিয়েছে, টেন্ডার ঠিকঠাক হচ্ছিল না, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঠিক মতো খরচ হচ্ছিল না, টাকা এসেও পড়ে থাকছে, মানুষ বিভিন্ন কাজ করতে এসে ফিরে যাচ্ছিল। সরকারি পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হলে তা যে কোনও ভাবে মেনে নেওয়া হবে না তা প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট। উন্নয়নের কাজ যাতে কোনও ভাবে ব্যাহত না হয় তার জন্য দু’ দফায় যে সমস্ত কর্মচারীর পারফরম্যান্স খারাপ, তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার ১৮৫টি পঞ্চায়েতের ৪০টি পঞ্চায়েতে এই সমস্যা দেখা যায়। এই পঞ্চায়েতগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল। জেলায় এমন কয়েকটি পঞ্চায়েত রয়েছে যেখানে কয়েক কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। প্রায় ২ বছর হয়ে গেলেও সেই টাকা খরচ করা হয়নি। রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পরই কর্মসংস্কৃতি ফিরেছে। তা নিয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাই দু’ দফায় এই বদলি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন জেলার সভাপতি অতনু রায় বলেন, সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্রশাসন এই বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী যারা একটানা ৩ বছর ধরে কাজ করেছে, তাদেরও বদলি করা হয়েছে। পারফরম্যান্স দেখে প্রশাসন এটা ঠিক করেছে।