সৌরভের কথা শুনে প্রতারিত, মহারাজের বিরুদ্ধে এবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের ১২৭ জনের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ আগস্ট ২০২৪
নির্মাণ সংস্থার হয়ে বিজ্ঞপনে অভিনয় করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ক্রিকেটারের সেই বিজ্ঞাপন দেখেই নাকি সেই সংস্থার থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। তবে ফ্ল্যাট কিনে প্রতারিত হয়েছেন। আর তাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন সেই সংস্থার থেকে ফ্ল্যাট কেনা আবাসিকরা। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় একটি সংস্থার তৈরি আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন আবাসিকরা। অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার সময় যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সংস্থার তরফ থেকে, সেই সব সুযোগ-সুবিধা মিলছে না। এরই সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে মালিক পক্ষের তরফ থেকে। এই আবহে সেই আবাসন নির্মাণকারী সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করায় সৌরভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানায় আবাসিকরা। এই নিয়ে মহেশতলা থানার দ্বারস্থ হলেন আবাসিকেরা। এরই সঙ্গে আবাসনে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশের কাছে যে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে সই রয়েছে ১২৭ জনের। জানা গিয়েছে, মহেশতলা থানার অন্তর্গত ১ নম্বর বাটানগর রোডে অবস্থিত এই আবাসন। ২০১৩ সালের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগকারী আবাসিকদের দাবি, এর পর ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভ, তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেব এবং আবাসন প্রকল্পের মালিক নিজে। সেই সময় এই আবাসনের সঙ্গে একটি ফিল্ম সিটি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা কা হয়েছিল। সৌরভ এই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, হোর্ডিং এবং সংবাদপত্রে সৌরভের ছবি সহ আবাসনের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের মধ্যে প্রল্পের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আজ, ৭ বছর পরও তা হয়নি।
এই আবহে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে আবাসিকদের অভিযোগ, আবাসনে জলের সমস্যা রয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সেই ভাবে নেই। আবাসনে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও কম। আর যেগুলি লাগানো রয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই কাজ করে না। বহু বিল্ডিংয়ে বিকল লিফট। এমনকী এই আবাসনে মধুচক্রের আসরও বসে বলে অভিযোগ। এদিকে অনেকেই টাকা মিটিয়ে দিলেও হাতে ফ্ল্যাট পাননি। এদিকে অনেকেই ৮০ শতাংশ টাকা দিয়ে দেওয়ার পরও নাকি চুক্তি বাতিল করে দেয় মালিকপক্ষ। আবাসিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষের পাশাপাশি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে সৌরভেরও এর দায় নিতে হবে।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়া প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি এই নির্মাণ প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। তবে সেই আবাসনে যে সমস্যা হচ্ছে বা অভিযোগ উঠেছে, এর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। এমনকী সৌরভ নিজেও নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দাবি করেন, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে তাঁর যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, সেই টাকা তিনি এখনও পাননি।