মিড ডে মিলের সবজি চাষ হচ্ছে স্কুলেই, অভিনব উদ্যোগ নদিয়ায়
এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৪
মিড ডে মিল নিয়ে স্বনির্ভরতার পাঠ শেখাচ্ছে নদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়। মিড ডে মিলে পরিবেশন করা খাবারের সবজি চাষ হচ্ছে স্কুলেই। স্কুলের সামনের বাগানেই শাকসবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি পড়ুয়াদের পুষ্টির বিষয়টিও মাথায় রাখছেন স্কুলের শিক্ষকরা।মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর খারাপ হতে দেখা গিয়েছে। কখনও মিড ডে মিলে দেওয়া খাবারের গুণগত মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেক সময়ই আবার মিড ডে মিলের খাবারে পাওয়া গিয়েছে নানা রকম পোকামাকড়। এই ধরনের খবর বেশিরভাগ সময়ই উঠে আসে শিরোনামে। তবে ব্যতিক্রম কার্যকলাপও দেখা যায় বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যে অন্যতম নদিয়া জেলার মাজদিয়া রেলবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার হালদারের উদ্যোগে মাজদিয়া রেলবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে মিড ডে মিলের সবজি চাষ করা হচ্ছে। সেই সবজি দিয়ে রান্না করেই পরিবেশন করা হয় পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারে। বাজারে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ওষুধ দেওয়া শাকসবজি খেয়ে বিশেষ করে শিশুদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
আর সেই কারণেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে শুধু গাছ লাগানোই নয়, সেগুলি নিয়মিত পরিচর্যা করে বড় করে তোলা সমস্ত কিছুই দেখভাল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার হালদার জানান, পড়ুয়াদের টাটকা সবজি দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেছি স্কুলের মধ্যেই সবজি ফলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এতে যেমন শিশুরা ভেজালহীন উন্নত শাকসবজি খেতে পারছে, ঠিক তেমনি বর্তমানে অগ্নিমূল্য বাজারের থেকে কিছুটা হলেও পয়সা সাশ্রয় হচ্ছে। শিক্ষকের এই উদ্যোগের ফলে খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকেরাও। তাঁরা জানান, এই কর্মকাণ্ড প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েরই নেওয়া উচিত। প্রায় সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়তেই উঠোন কিংবা প্রাঙ্গণের বেশ কিছুটা জায়গা থাকে। সেই জায়গাগুলিতে যদি এভাবে মিড ডে মিলের শাকসবজি উৎপাদন করা হয় তাতে যেমন আর্থিক সাশ্রয় হবে ঠিক তেমনি বাজারের ভেজাল জাত সবজি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে তাঁদের ছেলে-মেয়েরা, এমনটাই মত অধিকাংশ অভিভাবকদের।