• বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক,আদালতে জানাল কেন্দ্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • আধার কার্ড ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এই নথি দেখিয়ে কেউ নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। আধার কার্ড শুধুমাত্র সরকারি পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এক পর্যবেক্ষণে একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, যে ভাবে আধার কর্তৃপক্ষকে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অধিকার দেওয়া হয়েছে তার সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দার আধার কার্ড বাতিল হয়ে যায়। আধার কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় NRC বিরোধী জয়েন্ট ফোরাম। সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আধার কার্ড ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। ফলে এই কার্ড না থাকলে বা বাতিল হয়ে গেলে কারও নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র সরকারি পরিষেবা প্রদানের প্রক্রিয়া সরল করতে এই কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

    এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল, দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে যে সমস্ত ব্যক্তির কাছে এদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত নথি নেই তাদের আধার বাতিল করা হয়েছিল। এরা ভারতীয় নাগরিকত্ব না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাস করছিলেন।বলে রাখি, লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াসহ বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের আধার বাতিল করে কেন্দ্র। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। কয়েদ দিন পরে তাদের আধার কার্ড সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।

    যেভাবে আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে তার সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, যে আইনে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অধিকার আধার কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে তা ২০২৩ সালে পাশ হয়েছে। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)