• আরজি করের ঘটনায় ময়নাতদন্ত কমিটিতে থাকা ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কেস থানায়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ আগস্ট ২০২৪
  • প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার দাবি করা হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, আরজি করের ২২ বছর বয়সি ট্রেইনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরই মাঝে এবার ময়নাতদন্ত কমিটির দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উঠল প্রশ্ন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ময়নাতদন্ত কমিটিতে থাকা দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই টালা থানায় অভিযোগ দায়ের আছে ভিন্ন মামলায়। এদিকে সেই ময়নাতদন্ত কমিটিতে রয়েছে ইনটার্ন চিকিৎসকরাও। এছাড়া এনআরএস-এর মালি বন্দ্যোপাধ্যায় নামক এক চিকিৎসকের নাম রয়েছে এই কমিটিতে। তিনি অনেকটাই 'জুনিয়র' বলে দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না আরজি করের বাকি চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুব করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্ত বেরিয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নামকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২২ বছরের চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মিলেছে ছোপ রক্তের দাগ।

    এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে মাঝরাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। এই ঘটনা বা এর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপাতত কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট কমিশনার গঠন করা হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে অন্যান্য ধারা যুক্ত করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এদিকে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যাঁরা নাইট ডিউটিতে ছিলেন, রাতে যাঁরা ওই বিল্ডিং-এ বা তার আশপাশে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আর আটক হওয়া ব্যক্তি আরজি কর হাসপাতালের এজন নিরাপত্তারক্ষী। রিপোর্ট অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেই নিরাপত্তাকর্মীর বেশ কিছু বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তাই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)