সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে ফুঁসছেন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। সোমবার সকালে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। যাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ, সেই অধ্যক্ষকে প্রায় ক্লিনচিটই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা জানান, মানসিক চাপে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষকে অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার তিনি বলেন, “আর জি করের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন দিনকয়েক ধরে তিনি নিজে ও তাঁর সন্তানেরা মানসিক চাপে রয়েছেন। তাই আজ সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আমরা তাঁকে বুঝিয়ে বলেছি। আপনাকে ওখানে কাজ করতে হবে না। অন্যত্র কাজ করবেন।” তিনি এদিন আরও বলেন, “চেষ্ট বিভাগের এইচওডি, পুলিশ পোস্টের এসিপি, এমএসভিপি, সিকিউরিটিকে সরিয়ে দিয়েছি।” এই ঘটনার আসল দোষীকে খুঁজে বের করাই যে প্রধান লক্ষ্য তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করেন জানান মুখ্যমন্ত্রী। সিপি বিনীত গোয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশকে সাতদিনের ডেডলাইন বেঁধে দেন মমতা। সাফ জানান, রবিবারের মধ্যে ঘটনার কিনারা করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের কিনারা করাই বড় চ্যালেঞ্জ তদন্তকারীদের।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। তিনি পদত্যাগ না করলে হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া যে সম্ভব নয়, তা মোটের উপর নিশ্চিত ছিল। রবিবার রাতে অধ্যক্ষকে নাকি স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সাফ জানানোই হয়েছিল যে, হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক ও আর জি করের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে তাঁকে পদত্যাগ করতেই হবে। আর তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন সন্দীপ ঘোষ। ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কথা জানান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখে স্বেচ্ছায় বলে দাবি করলেও, এই পদত্যাগ চাপের মুখে নতিস্বীকার ছাড়া আর কিছুই নয়।