• আরজি করের সহকারী সুপারকে লালবাজারে তলব
    এই সময় | ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • 'হয়তো ভেতরের কেউ রয়েছে', সোমবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁরা যা বলেছিলেন সেই সমস্ত কিছুর নোটও নিয়েছিলেন সিপি বিনীত গোয়েল। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এবার ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার লালবাজারে তলব করা হল আরজি করের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সুপারকে। তাঁদের বেলা ১১টা নাগাদ লালবাজারে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।নিহত তরুণীর মা-বাবা জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের ফোন পান তাঁরা। তিনি ফোনে জানান, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। আর বিষয়টি যে সন্দেহজনক, তা জানিয়েছেন তরুণীর বাবা এবং মা। তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছলে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখার বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তাঁরা। একইসঙ্গে, মেয়ের কিছু সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং এর জেরেই ওই তরুণী আরজি করে যেতে চাইতেন না , দাবি বাবা মায়ের।

    সোমবার প্রায় ৪৫ মিনিট নিহত তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত প্রত্যেকের শাস্তি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়ে এসেছেন। দোষীর মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

    তিনি সোমবার বলেন, 'ওখানে নার্সরা ছিলেন। ওদের সুরক্ষাকর্মীরা ছিলেন।সবাই ছিল। তারপরেও এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি। ওর বাবা-মা আমাকে বলেছে এতে ভেতরের কেউ রয়েছে। কারও উপর সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।' একইসঙ্গে পুলিশকে তদন্তের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন রবিবারের মধ্যে এই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবেন। তবে সিবিআই-এর সাফল্যের হার ‘ভালো নয়’, দাবি করেছেন মমতা।
  • Link to this news (এই সময়)