এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আরজিকরের নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চায় পরিবার। মৃতার পরিবার অভিযোগ করে, "আমার মেয়ে মারা গিয়েছে অনেক পরে। প্রথমে বলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। ৩ ঘণ্টা আমাদের মেয়েকে দেখতে দেয়নি।" পরিবারের দাবি মেনে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। এরপর এদিন সওয়াল জবাবের সময় পরিবারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, যা রিপোর্ট তাতে একজনের পক্ষে সম্ভব নয়, আরও কেউ থাকতে পারে। পরিবারও মনে করে এখানে আরও কেউ থাকতে পারে।
বিকাশবাবু আদালতকে আরও জানান যে, পরিবারের কাছে একটা ফোন আসে। বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যার প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "এটা ঠিক, কেউ বলেছে পরিবারকে যে মেয়েকে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মৃত্যুর কারণ আত্নহত্যা কীভাবে বলা হল?" যার জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, "এটা কে বলেছে জানি না। আমিও শুনেছি। তবে পুলিস বলেনি। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেটা আমাদের দেওয়া হোক।"
আরজিকর কাণ্ডে এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্যদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, মৃতের শরীরে অনেক জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। অর্ধনগ্ন দেহ ছিল। সেখানে একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করে আত্মহত্যা বলা হচ্ছিল। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সিবিআই -কে দেওয়া উচিত। সিভিক পুলিসের পক্ষে এটা একা করা সম্ভব নয়।