অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর ক্ষতর মাঝেই কামারহাটির বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের হুমকি। কাঠগড়ায় রোগীর আত্মীয়। ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। অভিযোগ, ফোনে আর জি কর প্রসঙ্গ তুলে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হুমকি দেওয়া হয়। বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কামারহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও অধরা অভিযুক্ত।
সরকারি হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে সরব হয়েছে সব মহল। তখন আরেক তরুণী স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির একটি হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার তরফে প্রশিক্ষণরত ফ্রন্ট অফিসের কর্মী ওই তরুণী। গত শনিবার সকালে আর জি করের চারতলার অডিটোরিয়ামের পোস্ট গ্রেজুয়েট পাঠরত ট্রেনি চিকিৎসকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। ঠিক তার পরের দিন রবিবার তরুণী স্বাস্থ্যকর্মীকে আর জি করের উদাহরণ টেনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক রোগীর আত্মীয়র বিরুদ্ধে।
হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই রোগীর কোলনস্কোপির জন্য বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল কামারহাটির সেই হাসপাতালে রেফার করেছিল। কিন্তু সেখানে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার না থাকার কারণে অন্যদিন পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিল কামারহাটি সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে রোগী অন্য হাসপাতালে পরীক্ষাটি করতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। এই কারণেই রোগীর এক আত্মীয় ফোন করে তরুণী ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
তরুণী স্বাস্থ্যকর্মী জানান, “টেস্ট বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে বলেছিলাম, বিকল্প তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। না হলে বাইরে থেকে করিয়ে নিতে পারেন। তখনই ফোনে হুমকি দিয়ে বলে আর জি করে যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সেটা মাথায় রাখবেন। আপনার সঙ্গেও এমনটা হতে পারে। ঘটনার পর থেকে খুবই আতঙ্কে রয়েছি। কারণ আমিও মেডিকেল কর্মী, আর জি করে যার মৃত্যু হয়েছে তিনিও চিকিৎসক ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে থানায় অভিযোগ জানায়। ভয়েও ছিলাম, তাই এতদিন মুখ খুলিনি। রাস্তায় বেরোতেও আতঙ্ক লাগছে। কী হবে জানি না।” একই কারণে তরুণীর সহকর্মীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেই জানা গিয়েছে।