আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে নিহতের বাড়িতে CBI, তলব আরও ৩ জনকে
প্রতিদিন | ১৫ আগস্ট ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাসত: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাঁচ আধিকারিক নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যান। সদ্য স্বজনহারা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর বাড়ি থেকে বেরন আধিকারিকরা। তদন্তের স্বার্থে মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকরা।
উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক। গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি করছিলেন তিনি। ওই রাতে নৃশংস অত্যাচারের পর খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তে নেমেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই। তবে ধৃতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছোটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বুধবার প্রথমে জোকা ইএসআই হাসপাতালে যায় সিবিআই। বিক্ষোভের জেরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা যায়নি।
এর পর মাঝপথে গাড়ি ঘুরিয়ে তাঁকে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখানেও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিআর সিং হাসপাতালে সঞ্জয়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। এর পর বৃহস্পতিবার নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ-সহ ফরেনসিক বিভাগে চারজনকে তলব করে সিবিআই। সেই অনুযায়ী এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস, রীনা দাস, পলি সমাদ্দার ও মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা ওই তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কোনও চাপ ছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কেস ডায়েরি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি।