• আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে দলবিরোধী মন্তব্য, মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হল শান্তনুকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে। সেই আন্দোলনের মাঝেই মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ডা.‌ শান্তনু সেনকে। কদিন আগে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ। সেখানকার পড়াশোনা রসাতলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

    আজ, বৃহস্পতিবার দলের মুখপাত্র পদ থেকে শান্তনু সেনকে সরানোর খবর সামনে নিয়ে আসা হল। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মাঝরাতে তুমুল হামলা–তাণ্ডব নেমে এল আরজি কর হাসপাতালে। চলল মারধর। বাদ গেল না কেউ। চিকিৎসক থেকে পুলিশ প্রহৃত হলেন। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বললেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মন্তব্য করার জন্যই কি সরতে হল শান্তনুকে?‌ উঠছে প্রশ্ন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, দল মনে করেছে তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, হাসপাতালের চারতলায় ফুসফুস এবং চেস্ট বিভাগের যে সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই সেমিনার রুম ‘সম্পূর্ণ অক্ষত’ আছে। আর শান্তনু সেন পেশায় একজন ভাল চিকিৎসক। তাঁর নাম রয়েছে। তাই তাঁকে সরানো নিয়ে তো চর্চা হবেই। এই বিষয়ে দলের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা রয়েছে সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা কদিন আগেই হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে ঘটনা শুরুর পরপরই তাঁকে সরানো দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে মিডিয়ার সামনে উনি যে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন সেই বক্তব্য ওনার নিজের। দল সমর্থন করে না।’‌

    ঠিক কী বলেছিলেন শান্তনু?‌ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক নাইট ডিউটি করছিলেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়েন সেমিনার হলে। যেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে শান্তনু সেন বলেছিলেন, ‘‌আমি আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তনী। আমার মেয়ে সেখানে পড়ে। আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল এডুকেশন গত কয়েক বছরে রসাতলে গিয়েছে। কয়েকজনকে খুশি করতে পারলে প্রশ্ন জানা যায়। উত্তর হাতে নিয়ে হলে ঢোকা যায়, টোকাটুকি করা যায়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)