‘১ জনকে ফাঁসি দিলে….’, RG করে ধর্ষণ নিয়ে বললেন মমতা, মনে করালেন ধনঞ্জয়ের কথাও
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ আগস্ট ২০২৪
একজনকে ফাঁসি দিলেই বাকিরা ভয় পাবে - আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেইসঙ্গে ধনঞ্জয়ের কথা মনে করিয়ে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে কোনও নিরাপরাধীকে যেন শাস্তি না দেওয়া হয়। যে এই জঘন্য ঘটনায় যুক্ত আছে, তাকে ফাঁসি দেওয়াই উচিত। অপরাধীর ফাঁসির জন্য তিনি পথে নামছেন বলেও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসে মমতা বলেন, ‘মৃত্যুটা । কখনও কখনও এক-আধটা ঘটনা ঘটে যায়। এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। এরা সমাজের শত্রু। এটা কেউ বন্ধু নয়। সেই জিনিসটাকে আমরা কখনও সমর্থন করি না। সমর্থন করতে পারি না।’
সেই প্রসঙ্গে আবার গত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশে কী ঘটেছে, মধ্যপ্রদেশে কী ঘটেছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। হাথরাস, উন্নাও, বিলকিস বানোর মতো ঘটনারও উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা যারা করে ইটস অ্যা বিগ অ্যান্ড বিগ... কী বলব, আমি জানি না। এক্সট্রা-অর্ডিনারি ক্রিমিনাল...ইটস অ্যা ক্রাইম। বিগ ক্রাইম।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর কোনও শাস্তিতে লাভ নেই। একটাই শাস্তি। ফাঁসি দিয়ে দাও, যাতে একজনকে ফাঁসি দিলে অন্যরা কিছু করার আগে ভয় পায়। কিন্তু এটা আমি নিশ্চয়ই বলব, প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধী যেন না পায়। কারণ এখন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কেসটা প্রতিদিন লেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার হয়ে একজনকে সাক্ষী দিতে বলা হয়েছিল। যে সাক্ষী দিয়েছিল, সে স্বীকার করছে যে আমার পাপবোধ হচ্ছে, আমায় দিয়ে তখন বলানো হয়েছিল। এদিকটা যেন আমরা লক্ষ্য রাখি। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু কোনও নিরাপরাধীকে যেন এই শাস্তি পেতে না হয়।’
উল্লেখ্য, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাংশের অভিযোগ, বড় মাথাকে আড়াল করতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘বলির পাঁঠা’ করেছে পুলিশ। যদিও এখন মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।