প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ‘সন্ধান চাই’ বিজ্ঞপ্তি দেয় কলকাতা পুলিশ।
সেই বিজ্ঞপ্তির দেখেই এগিয়ে আসে সাধারণ মানুষ। সোশাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত ফিডব্যাকের ভিত্তিতে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে আমজনতাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
এক্স পোস্টে কলকাতা পুলিশ লিখেছে, আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১৯ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। আপনি যদি আমাদের আগের পোস্ট থেকে সন্দেহভাজনদের কাউকে চিনতে পারেন তবে দয়া করে আমাদের জানান। আপনাদের সমর্থন এবং বিশ্বাসের জন্য ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আর জি করের লাগোয়া এলাকায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির একটি মিছিল চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় আর জি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।
আর জি কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চালানো হয়। আর জি করের পুলিশ ফাঁড়ি এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
ঘটনাস্থলে কিছু পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও প্রাথমিকভাবে তারা কিছু করে উঠতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফও। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে জখম হন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী।