• গ্রেফতার করা হোক সন্দীপ ঘোষ ও CP বিনীত গোয়েলকে, বিস্ফোরক দাবি খোদ তৃণমূল সাংসদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • রাত দখলের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। ১৪ তারিখ রাতে কোনও সমাবেশে যোগ না দিলেও নিজে ধরনায় বসেছিলেন। পরে অমিত শাহকে চিঠি লিখে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির আর্জি জানিয়েছিলেন। এহেন সুখেন্দুশেখর রায় এবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারির দাবি তুললেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তাতে তিনি লেখেন, 'সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা এই সঞ্জয় রায়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কেন ৩ দিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মুখ খোলন।'

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল। সেই সময় সরাসরি এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দেয় যে তারা মনে করছে, এই আন্দোলন আদতে বিরোধীদের মদতে সরকারের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন নেতা নানান মন্তব্য করেছিলেন। পরে ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় মমতা খোদ বাম-রামকে তোপ দেগেছিলেন। যদিও সেদিন সুখেন্দুশেখর রায় 'রাত দখলের' কর্মসূচিকে সমর্থন করে বলেছিলেন, 'আমি মেয়ের বাবা। নাতনির দাদু হিসেবে এই প্রতিবাদে সামিল হব।'

    পরে নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর আবেদন ছিল, এই সব ক্ষেত্রে আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। নিজের চিঠিতে সুখেন্দুশেখর লিখেছিলেন, 'এটাই সঠিক সময় কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনার পক্ষে। এই আইন আনতে শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনা হোক। বাস, ট্রাম থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা বাড়াতে হবে। সিসিটিভি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যাও বাড়ানো হোক। দেশের প্রতি জেলায় তিনটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হোক। ধর্ষণ করে খুনের মতো অভিযোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ যাতে করা যায়।'

    এদিকে 'রাত দখলের' কর্মসূচির সময় আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। তা নিয়ে জলঘোলা জারি আছে। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলই প্রমাণ লোপাট করতে এই হামলা চালায়। সেই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ঘটনার জন্যে আবার সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করেছিলেন সিপি বিনীত গোয়েল। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দাবি ছিল, বাম-রাম নাকি চক্রান্ত করে এই হামলা চালায়। মমতা নিজে দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের জন্যে বাম-রাম আরজি করে হামলা চালায়। এই সবের মাঝে এবার সন্দীপ ঘোষ এবং বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারি চেয়ে দলকেই অস্বস্তিতে ফেললেন সুখেন্দুশেখর রায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)