সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্ট-মোহন সমর্থকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি রুখতে কড়া বিধাননগর পুলিশ। রবিবার বিকেলে সল্টলেক স্টেডিয়াম মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জমায়েতে ‘না’। এদিন বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত যুবভারতী চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করল তারা। গোলমালের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তরফে এদিন একটি অডিও রেকর্ড শোনানো হয়। যেখানে বলতে শোনা যায়, ‘অস্ত্র নিয়ে যেতে হবে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই।’
রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গ্যালারিতে ‘প্রতিবাদী’ টিফো নামানোর পরিকল্পনা করে দুই প্রধান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। এর মাঝেই আচমকা শনিবার দুপুরে বাঙালির বড় ম্যাচ বাতিল করে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। কেন বাতিল করা হল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ, সে সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বিধাননগর জোন) অনীশ সরকার জানান, “কিছু লোক, কয়েকটি সংগঠন ম্যাচে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। আমরা আগাম সেই খবর পেয়েছিলাম। বিষয়টি ডুরান্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উপস্থিত ৬০-৬২ হাজার দর্শকের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
পুলিশ যাই বলুক না কেন, বাঙালির বড় ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে সমর্থকরা। আর জি করের নৃশংসতা এবং ম্যাচ বাতিলের প্রতিবাদে এদিন সন্ধেয় স্টেডিয়াম থেকে আর জি কর হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা ছিল দুই প্রধানের সমর্থকদের। কিন্তু সেই জমায়েতেও অশান্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করে বিধাননগর পুলিশ। তাদের এই দাবির স্বপক্ষে একটি অডিও রেকর্ডও শোনানো হয়। যেখানে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যত ছেলে, যখন হাতে অস্ত্র নেবে না! হাতে অস্ত্র মানে বুঝে নাও। তখন দেখবে এই যে পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে না! সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। ওরা লাঠি চালাবে, আমরা চালাব অস্ত্র। দেখি কার জয়….ঠিক আছে! অস্ত্র নিয়ে যেতে হবে। ভয় পেলে চলবে না।”
পুলিশের দাবি, এদিনের জমায়েতেও অশান্তি হতে পারে। সেই ছক কষা হচ্ছে। তাই তাঁদের আরজি, “জমায়েত না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যুবভারতী চত্বরে জারি করা হয়েছে ন্যায় সংহিতার ১৬২ ধারা।” জানা গিয়েছে, রাকেশ পাল, শুভম চক্রবর্তী, অনীশ দত্ত, রজত নন্দী-সহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।