• 'বিচার চাই', ফুটবলপ্রেমীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ পুলিসের! যুবভারতীতে ধুন্ধুমার...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আরজি কর কাণ্ডের এবার আঁচ ময়দানে। 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান তুলে যুবভারতীর সামনে জমায়েত করলেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের উপর পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিসের। অবরুদ্ধ ইএম বাইপাস।

    ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল। যুবভারতীতেও 'We Want Justice' স্লোগান ওঠার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। নিরাপত্তার কারণে যখন শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল ডার্বি, তখন প্রতিবাদের সিদ্ধান্তে অনড় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। অশান্তির আশঙ্কায় যুবভারতীর বাইরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিস। কিন্তু প্রতিবাদ থামানো গেল না।

    এদিন বিকেলে পুলিসের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যুবভারতীর সামনে জমায়েত করেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বিভিন্ন দিকে রীতিমতো মিছিল করে যুবভারতীর দিকে আসতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর পুলিস যখন জমায়েত সরানোর চেষ্টা করেন, তখন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীদের। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হন তিনি। কল্যাণ  বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও ফুটবল সমর্থকদের কখনও গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতের ফুটবলের জন্য় খুবই লজ্জার ঘটনা। যত পুলিস এই ম্য়াচটাকে আটকানোর দেওয়া হয়েছ, ম্যাচ দেখতে যে সমর্থকরা এসেছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করতে যে সংখ্য়ক পুলিস দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেক পুলিস দিলে ম্যাচটা হয়ে যেত'।

    আজ, রবিবার ডুরান্ড কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের। যুবভারতীতে সেই ডার্বি নিয়ে মুখিয়ে ছিলেন দুই দলের সমর্থকরাই। বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাহলে কেন বাতিল ডার্বি? সোশ্যাল মিডিয়ার বদান্যতায় ও অন্যান্য সোর্স থেকে কলকাতা পুলিস ও বিধাননগর পুলিসের কাছে খবর আসতে থাকে ডার্বির দিন দুই দলের সমর্থকরা বড় বড় টিফো নিয়ে মাঠে আসবেন এবং যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামকেই তাঁরা প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। সেই কারণেই তারা চাইছিলেন গত ১৪ আগস্ট পুলিস যে দৃশ্য আরজি করে দেখেছে তা যেন আর না ঘটে। এর আগে এনআরসি নিয়েও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বড় বড় টিফো গিয়েছে। এরপর আরজি কর কোনও অনভিপ্রত ঘটনা যাতে না ঘটায় তার জন্য ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)