• ফেসবুকে পোস্ট করায় পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে? আইনি সহায়তা শুভেন্দুর, দিলেন Email id
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • সোশ্য়াল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট নিয়ে আপত্তি তুলছে পুলিশ। সেই সঙ্গেই পোস্ট মোছার জন্যও নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এনিয়ে নিজের ই মেল আইডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

    শুভেন্দু লিখেছেন, আমার নজরে এসেছে যে একাধিক সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারকারী এই রাজ্যের পাশাপাশি ও গোটা দেশ জুড়েই কলকাতা পুলিশের, রাজ্য় পুলিশের ও সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিশ পাচ্ছেন। সেই পোস্ট মোছার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গেই তাদের জরিমানা করার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।

    'বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ অনুসারে সেকশন ১৬৮ অনুসারে এই নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে যে পোস্ট হচ্ছে তা নিয়ে এই নোটিশ। এটা সরকার, পুলিশ, প্রশাসনের কাছে অস্বস্তির হয়ে যাচ্ছে।

    আমি বিশ্বাস করি বাক স্বাধীনতা যে কোনও স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। সেক্ষেত্রে কেউ যদি মতামত প্রকাশের জন্য হেনস্থার শিকার হন আর পোস্টটি যদি অশ্লীল না হয় তবে আমি তাঁকে বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা দেব। দয়া করে পুলিশ যে নোটিশ পাঠিয়েছে সেটা আমায় পাঠিয়ে দিন। তার সঙ্গে আপনার নাম ও ফোন নম্বর পাঠান। আমার ইমেল আইডি-তে পাঠিয়ে দিন।

    adhikarisuvenduwb1@gmail.com আমার লিগাল টিম আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।'

    শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নিজের মেল আইডি দিয়ে বিনামূল্যে আইনি সহায়তার কথা জানিয়েছেন।

    এদিকে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা কার্যত মিলিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের মতো চির প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও। প্রতিবাদের ঝড় গোটা দেশ জুড়ে। তার মধ্যেই যাদের পোস্ট আপত্তিকর বলে মনে হচ্ছে পুলিশের তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

    তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নাগরিক সমাজ আন্দোলনে নেমেছে। রাজনীতির রঙ ফিকে হয়ে আসছে। রাজনৈতিক পতাকা ছাড়াই আন্দোলন। আর সেখানেই একাধিক রাজনৈতিক দল নানাভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।

    এর আগে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের শেষ ভরসার জায়গা ফের ন্য়ায় বিচারের জন্য এগিয়ে এল। আরজি করের ভয়াবহ খুনের ঘটনা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয় হয়েছে।

    শুভেন্দু লিখেছিলেন, আমি অন্য দুজনের সঙ্গে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। সরকার একজনকে বলির পাঁঠা করে বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। তবে এখন তারা আর সেই সুযোগ পাবে না। দোষীদের গ্রেফতার করা হবেই। তাদের শাস্তি দেওয়া হবে এবার। রাজ্য প্রশাসন একটি চিকিৎসকের জীবন রক্ষা করতে পারল না। এই ভয়াবহ অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হল। মহামান্য আদালত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষ সম্পর্কে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের প্রভাবশালীদের সহায়তায় যে নোংরা খেলা চলছিল তার পর্দাফাঁস হয়ে গিয়েছে। তবে এবার সিবিআই এই তদন্তভার নিয়েছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে সিবিআইয়ের প্রতি। সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। একজন চিকিৎসকের জীবনকে ছিনিয়ে নেওয়া হল, একজন কন্যাকে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল। সত্যিটা বেরিয়ে আসুক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)