• বিক্ষোভ আয়োজনের অভিযোগে যুবককে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, হাইকোর্টে মামলা হতেই জামিন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • আর জি কর মেডিক্যালের ঘটনার প্রতিবাদে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে ক্রীড়াপ্রেমীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানোয় হাওড়ার এক যুবককে আটক করে নিয়ে গেল পুলিশ। শুধু তাই নয়, যুবককে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হলেও রাতভর তা জানানো হল না পরিবারকে। সকালে পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে যুবককে মুক্তি দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবারটি।

    ধৃত যুবকের নাম রজতশুভ্র নন্দী । হাওড়ার সাঁতরাগাছির শরৎপল্লি এলাকার বাসিন্দা রজতশুভ্রকে রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ ফোন করে পুলিশ। ফোনে তাকে জানানো হয়, যুবভারতীর ধারে কাছে যেন না ঘেঁষেন ওই যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তাঁকে বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যায় সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ। যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় তারা।

    রজতশুভ্রবাবু জানিয়েছেন, রাত বারোটা অবধি থানায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। গভীর রাতে তাঁকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছতেই তাকে লক আপে ঢুকিয়ে দেন আধিকারিকরা। তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে অস্বীকার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী নিজেরাও পরিবারকে কিছু জানাননি।

    ওদিকে ছেলের খোঁজ না পেয়ে সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রজতবাবুর বাবা অনিমেষ নন্দী। সেই খবর চাউর হতেই রজতশুভ্রকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেয় বিধাননগর থানা।

    রজতবাবু বলেন, ‘আমার কাছ থেকে মানি ব্যাগটা নিয়ে আমাকে লক আপে ঢুকিয়ে দিল। কোনও কথা শুনলো না। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিল না। বলল ওসব সকালে হবে। একই অভিযোগে আরও ২ জনকে লক আপে ঢুকিয়ে রেখেছিল। সকালে আরও একজনকে কোথা থেকে ধরে আনে।’

    অনিমেষ নন্দী বলেন, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সন্দেহের বশে তাঁর ছেলেকে লক আপ করে হেনস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলে ছেলের পাশেই থাকবেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)