• বুধে তলব লালবাজারেও, তার আগে সকালে ফের CGO-তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ আগস্ট ২০২৪
  • আজ টানা ষষ্ঠবারের জন্যে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ সন্দীপ এসে পৌঁছন সিজিও কমপ্লেক্সে। উল্লেখ্য, আজ লালবাজার থেকেও তলব পেয়েছেন সন্দীপ। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এর আগে গত ৫ দিনে সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষকে ১০-১২ ঘণ্টা করে জেরা করা হয়েছে।

    এদিকে দু'দিন আগেও তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'স্নেহধন্য'। তবে আচমকাই ঘুরে গিয়েছে চাকা। সন্দীপ ঘোষের আমলে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে সম্প্রতি চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এরই মধ্যে ২০ অগস্ট সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করার অভিযোগেও সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে কলকাতা পুলিশে। এই কারণেই আজ তাঁকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে।

    উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা শহর, গোটা রাজ্য। আরজি করে পড়ুয়া খুনের ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। পরে চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবং মিডিয়াকে ডেকে তিনি যেদিন প্রিন্সিপাল পদ থেকে পদত্যাগ করেন, সেদিন তিনি বারংবার নির্যাতিতা সেই ডাক্তারের নাম নেন। তাঁর সেই বক্তব্য লাইভ টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই আবহে নির্যাতিতার নাম প্রকাশের অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে অবশেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।

    অপরদিকে গত ২০২৩ সালে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী আখতার আলি। একবছর আগে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডের ডেপুটি সুপার থাকাকালীন রাজ্যের ভিজিলেন্স কমিশনকে একটি সুদীর্ঘ চিঠির মাধ্যমে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আখতার আলি। এর আগে আরজ কর মেডিক্যাল হাসপাতালের ডেপুটি সুপারে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কাজ করেছিলেন আখতার আলি। আখতার আলি কী কী অভিযোগ করেছিলেন? তাঁর দাবি ছিল, বড় অঙ্কের বরাতকে ছোট ছোট বরাতে ভেঙে অনলাইন টেন্ডার এড়িয়ে পছন্দের সংস্থাকে বরাত দিতেন সন্দীপ ঘোষ। খারাপ গুণমানের ওষুধের অর্ডার দিয়ে সেই সংস্থাকে লাভবান করতেন এবং পরে সেই সংস্থা থেকে কমিশন নেওয়া হত। এদিকে কোভিড ফান্ড ব্যবহার করে চেয়ার-সোফা-আসবাব কেনা হত বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসা-বর্জ্য মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে পাচার করে দেওয়া হত বলে দাবি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)