নির্যাতিতাকে নিয়ে 'অসংবেদনশীল' আচরণ, রুখতে উদ্যোগী কেন্দ্র
এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: সোশ্যাল-ডিজিটাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরেরা যখন আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে শহরের পথে নামার অঙ্গীকার করেছেন, তখনই সমাজ মাধ্যম থেকে নির্যাতিতার ছবি এবং নাম সরানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। আরজি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনার পরে যখন গোটা দেশ ক্ষুব্ধ এবং আন্দোলিত, তখন ওই হাসপাতালের নির্যাতিতাকে নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একাংশের 'অসংবেদনশীল' আচরণ অব্যাহত।গত মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে ভিক্টিমের নাম, পরিচয়, ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। কিন্তু ফলোয়ার্স, রিচ ও লাইকের নেশায় মশগুল একদল কনটেন্ট ক্রিয়েটর সেই কাজ সমানে করে চলেছেন। শুধু তাই-ই নয়, নির্যাতিতার নামে প্রোফাইল তৈরি করে তাঁর ছবি ব্যবহার করে চলছে লাইক ও ফলোয়ার্স বাড়ানোর প্রতিযোগিতাও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি মন্ত্রক ভারত থেকে অপারেট হওয়া বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, এ ধরনের সমস্ত পোস্ট, ছবি, ভিডিয়ো, প্রোফাইল দ্রুত ডিলিট করে ফেলতে হবে। না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেন্দ্র।
ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক এমন প্রোফাইল ও পেজ এখনও দেখা যাচ্ছে যেখানে সরাসরি ভিক্টিমের নাম ও ছবি দেওয়া হয়েছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন বহু মানুষ-ই নির্যাতিতার আসল নাম জেনে গিয়েছেন। সেই নাম দিয়ে সার্চ করলেই ভেসে উঠছে এই প্রোফাইলগুলি।
দেখা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চলছে ‘লভ ইউ’ স্টিকার দেওয়া অন্য এক মহিলার ছবি দিয়ে প্রচার। কোথাও আবার আগে থেকে চালু থাকা নানা প্রোফাইলের নামও বদল করা হয়েছে নির্যাতিতার নামে।
ইতিমধ্যেই এ ধরনের ঘটনায় যুক্ত প্রায় ৩০০ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে লালবাজারে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, কোনও তথ্য সূত্র না ভেরিফাই করেই একাধিক এমন পোস্ট তাঁরা শেয়ার করে দিয়েছেন, যা আদতে ফেক! কেন্দ্রীয় সরকারও এ বার চাইছে এই ধরনের ঘটনায় রাশ টানতে।