• টানা ১৪ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরলেন সন্দীপ
    প্রতিদিন | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • দিশা আলম, বিধাননগর: টানা ১৪ ঘণ্টা জেরার পর সিবিআই দপ্তর থেকে বেরলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন তিনি। রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরন। এই নিয়ে পর পর মোট ৬ দিন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি প্রাক্তন অধ্যক্ষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে সামনে এল কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সেদিকেই নজর সকলের।

    গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত লম্বা ছুটিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

    ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পুলিশ এই ঘটনায় তৎকালীন অধ্যক্ষকে জেরা না করলেও, সিবিআই সন্দীপকে হাজিরার নোটিস পাঠায়। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি সন্দীপ। এর পর গত শুক্রবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই দিন মাঝপথে সিবিআই তাঁকে পাকড়াও করে। টানা জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, প্রথমদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্সে পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। শনিবার ফের সকালে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন সন্দীপ। সেদিন সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে হাজিরা। এবং সবরকমভাবে তদন্তকারীদের সাহায্য করার আশ্বাসও দেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এর পর একটানা বুধবার পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন সন্দীপ ঘোষ। এদিন তাঁর গাড়িও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন সিবিআইয়ের ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)