• 'দেখা হলে জিজ্ঞেস করব এমন কেন করলি?' সঞ্জয়ের কর্মকাণ্ডে ভেঙে পড়েছেন মা
    আজ তক | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • আর জি করে তরুণি চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় আজ সারা দেশে উত্তাল। মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যে দু'দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও হয়ে গেছে। ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতিও মিলেছে। দিন কয়েকে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। টিভিতে চোখ রাখলে পুত্র সঞ্জয়ের এই কাজে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা।

    আজ তক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের মা বলেছেন, "এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই বাড়িতেই থাকতেন সঞ্জয়। ওই রাতে সঞ্জয় খাবার খায়নি, শুধু হাসপাতালে যাচ্ছে বলে জানায়। যাই হোক না কেন, ও সবসময় রাতে ফিরে আসে।"

    অভিযুক্তের মা বলেন, ঠসঞ্জয় বক্সিং শিখত। বাবা খুবই কঠোর ছিলেন। আমিও যদি সমান কঠোর হতাম তাহলে হয়তো এমনটা হতো না। ও আমার যত্ন নিত, এমনকি আমার জন্য খাবারও রান্না করত।"

    সঞ্জয়ের প্রথম বিয়ের কথা বলতে গিয়ে তার মা বলেন, "সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী ভালো মেয়ে ছিল। তারা খুশি ছিল। হঠাৎ, তার ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং তাদের সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।"

    'ঘটনা শুনে হতবাক'
    আরও বলেন, 'এই বাড়িতেই সে থাকত। কখনও অস্বাভাবিক কিছু করেনি, তাই আমি সতর্ক ছিলাম না। আমি জানতাম না যে আরজি করার পর হাসপাতালে যেত। ঘটনার কথা শুনে আমি হতবাক। আমার ছেলে এমন না। একদিন সে মাতাল হয়ে এল। সম্ভবত স্ত্রীর মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছিল। আমি বলতাম মদ খেও না, চা খাও।"

    'স্বামীর মৃত্যুর পর সব বদলে গেছে'
    অভিযুক্তের মা আরও বলেন, "এই কঠিন সময়ে আমার মেয়েরা কেউ বাড়িতে আসছে না। চারজনই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি জামাইও আসেননি। মাঝে মাঝে পুলিশ আসে। কিন্তু কে আসছে জানি না। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর, সবকিছু বদলে গেছে, আমার সুন্দর সংসার এখন শুধুই স্মৃতি। সঞ্জয় যে যৌনপল্লিতে যেত আগে কখনও শুনিনি।"

    তবে তিনি সংশয় করেন, 'আমি জানি না কীভাবে আদালতে আপিল করব। আমি একা। সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা হলে আমি বাবুকে জিজ্ঞেস করব, তুমি কেন এমন করলে? আমি জানি না কে তাকে এই কাজে প্রভাবিত করেছে। আমার ছেলে এমন ছিল না। যদি কেউ তাকে জড়ায় তাহলে সে শাস্তি পাবে। যদি সে এটা করে থাকে তাহলে ঈশ্বর ওকে শাস্তি দেবেন।"

    'ফুটবল এবং বক্সিং পছন্দ ছিল'
    সঞ্জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করে তার মা বলেন, '১৯৮৯ সালে রাখি পূর্ণিমাতে ওর জন্ম হয়। আমার মনে হয়েছিল যে আমাদের জন্য তাঁর জন্ম ভগবান বিষ্ণুর পুনর্জন্ম। তাই আমি তার নাম রেখেছি সঞ্জয়। ফুটবল খেলত, বক্সিং পছন্দ করত। ছোটবেলায় 'টপার' ছিল। তিনি একজন কলেজ পাসআউট এবং NCC-এর অংশও ছিল।
  • Link to this news (আজ তক)