নিরুফা খাতুন: নিম্নচাপের দোসর ঘূর্ণাবর্ত। সকাল থেকে প্রায় মেঘলা আকাশ। দফায় দফায় বাড়বে বৃষ্টি। সময় যত গড়াবে, বৃষ্টি তত বাড়বে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। রেহাই নেই কলকাতাবাসীরও। ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে মহানগর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপ বাংলাদেশ থেকে সরে দক্ষিণবঙ্গের উত্তরভাগ এবং ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মূলত উত্তর-পূর্ব ঝাড়খণ্ডে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অবস্থান করবে নিম্নচাপ। তার পর আরও ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। কলকাতা সহ বাকি সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। রবিবার অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম।
এদিকে, কলকাতায় শনি ও রবিবার বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি রয়েছে। তাই বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। শহরের শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৫ ডিগ্রি। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৪ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গে রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারও পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। শনি ও রবিবার বাংলা এবং ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।