• 'নবান্ন অভিযান ব্যর্থ করতে ফেক নিউজ ছড়াতে চাইছে পুলিশ, তৈরি করছে ফেক প্রোফাইল'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নবান্ন অভিযান ব্যর্থ করতে ফেবসুকে ভুয়ো খবর ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য পুলিশ। আর সেজন্য গাঁটের কড়ি খরচ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল খোলাচ্ছে তারা। শনিবার সকালে বিস্ফোরক এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে রাজ্যের সমস্ত জেলায় তৈরি করা এই ধরণের ফেক প্রোফাইলের তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে পুলিশের পরিকল্পিত অপপ্রচারে ছাত্র – যুবদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    আরজি করে নিহত মহিলা চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে আগামী ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে অরাজনৈতিক ছাত্ররা। সেই কর্মসূচির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, ২৭ অগাস্টের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারবে না সরকার। এর পরই শনিবার সকালে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দুবাবু।

    সোশ্যাল সাইটে তিনি লিখেছেন, ‘সমাজমাধ্যমে ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানের বার্তা ভাইরাল হতেই হাঁটু কেঁপে গেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। প্রথমে মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত রাত দখলের কর্মসূচি অভূতপূর্ব সাড়া ফেলার পর এবং একপ্রকার জনরোষের মাধ্যমে পরিনত হওয়ার ফলে সরকার ও প্রশাসন এমনিতেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। এবার ছাত্র সমাজের অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযানের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ওনার স্নায়ুর চাপ হ্রাস করতে পুলিশ মাঠে নেমে পড়েছে। শুধুমাত্র পুলিশি ব্যবস্থা দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ও নাগরিক সমাজ কে রোখা যাবে না বুঝতে পেরে, মমতা পুলিশ একপ্রকার অনৈতিক পথ অবলম্বন করা আরম্ভ করেছে। প্রত্যেক জেলার থানা গুলোতে ফেক ফেসবুক প্রোফাইল খোলানো হচ্ছে সিভিকদের দিয়ে। এই ফেক ফেসবুক প্রোফাইল গুলি সংগ্রহ করা হচ্ছে যাতে এই গুলোর মাধ্যমে ২৭ আগষ্ট এর নবান্ন ঘেরাও নিয়ে ভুল ভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো যায়। এর সাথেই এই ফেক ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহারকারীদের URL লিংক পাঠানো হচ্ছে কিছু আগে থেকেই সৃষ্টি করা ভুল পোস্ট ছড়ানোর জন্য যাতে নবান্ন অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো যায় ও ছাত্র ছাত্রীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায়। সিভিকদের ডকুমেন্ট দিয়ে সিম কার্ড তোলা হয়েছে। ওসি-রা টাকা দিয়েছেন রিচার্জ করার জন্য। তার পরে সব ফেক নাম দিয়ে প্রোফাইল খোলানো হচ্ছে।'

    শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘প্রতিটা জেলার সব জায়গাতেই DG-র নির্দেশে পুরোদমে এই কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। পুরো পৃথিবীতে ‘টুলকিট’-এর ব্যবহারে আন্দোলন জোরদার করার নজির রয়েছে, যার মাধ্যমে আন্দোলনে যোগদানে ইচ্ছুকদের বার্তা দেওয়া যায়, কী ভাবে অনলাইন বা অফলাইনে তাঁরা আন্দোলনের অংশ হয়ে উঠতে পারেন। এই প্রথম আন্দোলন রুখতে সরকার ও প্রশাসন 'টুলকিট' ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ভেস্তে দিতে চাইছে।’

    ছাত্রছাত্রীদের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘আমি ছাত্র ছাত্রীদের ও নাগরিক সমাজকে অনুরোধ করছি আপনারা কোনো ভুয়ো খবরে বিভ্রান্ত না হয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলুন ডাক্তার বোনটির জন্যে বিচার আদায়ের দাবি জানানোর জন্য। আমি মমতা পুলিসের ষড়যন্ত্র জনসমক্ষে প্রকাশ করতে আপাততঃ পুর্ব মেদিনীপুর জেলায় পুলিশের দ্বারা খোলা ফেক ফেসবুক প্রোফাইলের তালিকা নমুনা হিসেবে সংযুক্ত করলাম। আমার কাছে প্রতিটি জেলার তালিকা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি জেনে রাখুন নিচের তলার পুলিশ প্রশাসনের একটা বড় অংশ আর আপনার পাশে নেই, আপনার জন বিরোধী কার্যকলাপে তাঁরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাদের বাড়িতেও কন্যা সন্তান রয়েছে, তাঁরাও বিচার চান।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)