‘সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে…’, কর্মীদের ‘ফোঁস’ করার নির্দেশ তৃণমূল নেত্রীর
প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ছাত্র সমাজের’ নামে নবান্ন অভিযান। তাতে বহিরাগতদের দাপট! এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বললেন, ‘আমি এদের শাস্তি চাই। আদালত কী করবে জানি না। কিন্তু মানুষ এদের বিচার করবে। মানুষের হাতে তুলে দিলেই বিচার হবে।” যদিও পরমুহূর্তেই তৃণমূল নেত্রীর সাবধান বাণী, “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।” বস্তুত তৃণমূল নেত্রী চাইছেন, আইন নিজের হাতে না তুলে নিলেও অন্তত কর্মীরা যেন সরব হন বিজেপির বিরুদ্ধে।
বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে মমতা বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের নামে এরা কারা? ছাত্রদের গার্জেন কল হয়েছিল নাকি। এরা বাংলার মানুষ? বাংলার মানুষ হলে নবান্ন চিনত না? রাজভবন চিনত না? অনেকে তো দেখলাম রাজভবনের দক্ষিণ দ্বারে ঢিল মেরেছে।”
এর পরই তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, “বাংলায় থাকবেন, আর বাংলাকে বদনাম করবেন, এটা আমি মেনে নেব না। কখনও কখনও মানুষকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে, আমি কী করতে পারি আপনারা জানেন না। আমাকে ছোঁয়া অত সহজ নয়।” মমতার সাফ কথা, “আমরা সবার বিচার চাই। আদালত কী করবে জানি না। বিজেপি বললেই আদালত ছেড়ে দেয়। কিন্তু মানুষের হাতে তুলে দিলে মানুষ তো এদের বিচার করবেন।” যদিও পরক্ষণেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মনে করিয়ে দেন, আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় কারও।
এদিন হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বিজেপি শকুনের মতো বসে আছে। কখন একটা লাশ পাবে। নিয়ে রাস্তায় নামবে। এরা নিজেদের লোককে নিজেরাই মেরে ফেলতে পারে। আমি বলি অত সহজ নয়। সবার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক ব্যক্তির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” সোশাল মিডিয়ায় AI ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতার। দলের নেতাকর্মীদের তাঁর নির্দেশ, এর পালটা সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে হবে। ফেক ভিডিও রুখে দিতেই হবে।