• প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবিতে পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনায় মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। হাবড়া থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাত বছরের ওই নাবালিকা স্থানীয় রাজবল্লভপুর প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাড়ির উলটো দিকেই থাকে সতীশ সরকার নামে অভিযুক্ত যুবক। সতীশরা আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কয়েক বছর আগে তারা মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুরে বাড়ি করে। সতীশ ও তার দাদার নকল ওষুধের কারবার রয়েছে বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাবালিকা ও অভিযুক্তের বাড়ি মুখোমুখি। বুধবার কিছু চাইতে সতীশের বাড়ি যায় প্রথম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। তখন তাঁকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত। যার জেরে নাবালিকার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দাগ হয়ে যায়। ঘটনার কথা বাড়িতে জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে তারা কোনও পদক্ষেপ করেননি। সন্ধ্যায় নাবালিকা স্থানীয় এক তরুণীর কাছে পড়তে যায়। সেই তরুণী নাবালিকার শরীরে ক্ষত দেখে প্রশ্ন করেন। তখন নাবালিকা তাঁকে সব কথা খুলে বলে। এর পরই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এরই মধ্যে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত।

    সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। তাই পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বেলা বাড়তে মছলন্দপুর – খোলাপোতা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাবরা থানার পুলিশ। অভিযুক্তের মা ও দাদাকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশ জানান বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া স্বরূপনগর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পর অবরোধ ওঠে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)