প্রতিবাদের সভা থেকেই কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার অধীরের, মেজাজ হারালেন নেতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগে এখন প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব রাজনৈতিক দলই পথে নেমেছে। ফাঁসির দাবি, বিচার চাই এবং উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান শোনা যাচ্ছে সকলের মুখে। এবার এই প্রতিবাদের সভা থেকেই একটি অন্য দৃশ্য সামনে এসেছে। যেখানে সরাসরি খারাপ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
গতকাল, বৃহস্পতিবার কলকাতা শহরে মিছিল করে কংগ্রেস। আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদেই ছিল এই সভা। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর সেই সভাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেললেন অধীরবাবু বলে অভিযোগ। তার জেরেই নিজের দলের কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন অধীর বলে ওঠে অভিযোগ। এই মিছিল এবং পরে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা সমালোচনা করেছেন অধীর। কিন্তু যে ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও অধীর চৌধুরীকে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনে নিজের গড় বহরমপুর থেকে হেরে যান অধীররঞ্জন চৌধুরী। তার পর থেকে আরও মেজাজি হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকালের সভার যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, অধীর চৌধুরী মাইকে বক্তব্য রাখছেন। তখন আর একজন বয়স্ক কংগ্রেস কর্মী তাঁর দিকে হ্যান্ড মাইক এগিয়ে দিতে গেলে অধীর তখন দুর্ব্যবহার করেন। ওই কংগ্রেস কর্মীকে ধমকে বলতে থাকেন দেখছেন তো একটা মাইকে কথা বলছি। তখন ওই কংগ্রেস কর্মী অধীরকে কিছু একটা বললেন। তখন মাইকটি হাত থেকে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে কংগ্রেস কর্মীকে সরিয়ে দেন। এই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনা নিয়ে নানা আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই সভা থেকেই অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশ করাব, অন্যদিকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করাচ্ছেন। তাহলে কি ফাঁসি হবে কারও? বাংলায় তো এটাই প্রথম ধর্ষণের ঘটনা নয়? তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এতদিন ঘুমিয়ে ছিলেন কেন? আরজি কর ইস্যুতে জনতা যেভাবে পথে নেমেছে তাতে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ভয় পেয়েছে মমতা। মানুষ ভয় পাচ্ছে না। হিতে বিপরীত হবে, তাই এখন উনি পাল্টি খাচ্ছেন।’