ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধর্ষণের ঘটনায় কঠোরতম সাজা দিতে পূর্ব ঘোষণামতো বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই উদ্দেশে সোমবার থেকে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছে। আর এদিনই সংশোধনী বিলটির নামকরণ করা হল। ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। আর জি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসককে সম্মান জানিয়ে এই নামকরণ বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বিলটি পেশ হওয়ার কথা বিধানসভায়।
‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)-এ নয়া গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, ধর্ষণের ফলে নির্যাতিতা যদি কোমায় চলে যান, সেক্ষেত্রে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এই বিধান মনে করিয়ে দিচ্ছে মুম্বইয়ের অরুণা শানবাগের (Aruna Shanbaug) ঘটনা। যে নার্স নিজের হাসপাতালেই ধর্ষিতা হয়ে প্রায় ৪০ বছর কোমায় আচ্ছন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) হয়নি। রাজ্য সরকারের এই বিল আইনে পরিণত হলে অরুণাদের মতো অনেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ধর্ষণ করে খুনের ক্ষেত্রে আগের আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজা বহাল থাকছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম শাস্তি আজীবন কারাবাস ও জরিমানা। থানায় ধর্ষণের মামলা দায়েরের ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। দরকারে অতিরিক্ত ১৫ দিন মিলবে।
নতুন বিলে মহিলা, শিশুদের সুরক্ষায় তৈরি হবে ‘অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স’ (Aparajita Task Force)। জেলায় জেলায় এই টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি (DSP)পদমর্যাদার আধিকারিক, মহিলা আধিকারিককে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করলে ৩ থেকে ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে নতুন বিলে। তবে এই মামলা জামিনযোগ্য।
সোমবার বিলের নামকরণের পর ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) এর খসড়া দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের। মঙ্গলবার তা পেশ হওয়ার কথা। তার উপর আলোচনা হবে। বক্তব্য রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা।