• আরজি কর কাণ্ডে অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি, দায় এড়াতে মরিয়া শাসকদল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের সেমিনার রুমে মহিলা চিকিৎসক খুন হওয়ার পরে সেই রুমে ছিলেন অভীক দে। এমনটাই বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে এবার সেই অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতারি হওয়ার খবর সামনে আসার পরেই অভীককে সাসপেন্ড করা হল। কিন্তু প্রশ্ন হল এত দেরী হল কেন? 

    দীর্ঘদিন ধরেই নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করে এসেছেন অভীক। সেই অভীককে এবার সাসপেন্ড করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অভীক দের  বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে। আরজি করের ক্রাইম সিনের পরিপ্রেক্ষিতে। টিএমসিপি তাকে সাসপেন্ড করেছে। যে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন জারি থাকবে। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য একথা জানিয়েছেন। 

    সূত্রের খবর, আসলে গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে এটা আঁচ করেই এবার অভীক দের দায় এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের প্রশয় না থাকলে কি এতটা দাপুটে হতে পারতেন তিনি? 

    তবে কি ক্রাইম সিনে লাল জামা পরে যিনি ছিলেন তিনিই অভীক দে? তবে যে পুলিশ জানিয়েছিল অন্য কথা। তবে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন কার্যত মেনে নিয়েছে অভীক দে ছিলেন ওখানে। 

    অভীক দে নামে এক পিজিটি সেমিনার রুমে ছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। সেই অভীক সম্পর্কে এখন নানা রকম তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা ওই অভীক দের পিজিটি পাওয়া নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    এদিকে প্রথম প্রশ্ন বাস্তবে ছবিতে থাকা ওই ব্যক্তি যদি অভীক দে হয়ে থাকেন তবে তিনি ওখানে কেন গিয়েছিলেন?

    এদিকে সেই অভীক যে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তা ইতিমধ্য়েই সামনে এসেছে। এবার দাবি করা হচ্ছে করোনা পর্বে গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা করলে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে ভর্তির ক্ষেত্রে এই সার্ভিস কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন অভীক। আর তার মাথায় হাত ছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তৎকালীন এক প্রভাবশালী কর্তার।

    এমনকী তিনি বর্ধমান মেডিক্যালের রেডিওলজি বিভাগের আরএমও পদে ছিলেন। কিন্তু তিনি শংসাপত্রে বর্ধমান ২ ব্লকের বামচাঁদাইপুর গ্রামীণ এলাকায় অনাময় হাসপাতালে কর্মরত বলে দাবি করা হয়েছিল।

    এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, অভীক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু তার বাড়ি হল বর্ধমানে। আর তিনি সেই বাড়ির কাছেই আরএমও করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর না হয়ে তিনি কীভাবে আরএমও হওয়ার সুযোগ পেলেন? তবে এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস ছিল অনেকেরই।

    তবে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে অভীকের এই অনিয়ম নিয়ে অবশ্য জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কাদের প্রশয়ের হাত ছিল অভীকের মাথার উপর? যার জেরে অভীক একের পর এক সুবিধা পেয়ে গেলেন। এমনকী বেতন তুললেন বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে। আর তিনি গ্রামীণ এলাকায় থাকা হাসপাতালে কর্মরত বলে দাবি করা হল। আবার গোটা কোভিড পর্বে সেই অভীককে দেখা গেল না অনাময়তে। সবটাই রহস্যময়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)