• কয়েকশো বিঘা জমিতে বিলাসবহুল ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’! ক্যানিংয়ে সন্দীপের নতুন ডেরার সন্ধান
    প্রতিদিন | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শান্তিনিকেতনের ‘অপা’র কথা মনে আছে তো? পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সম্পত্তি। এবার তেমনই এক বিলাসবহুল সম্পত্তির হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। তবে এ সম্পত্তি চিকিৎসক স্বামী-স্ত্রী ? সন্দীপ ঘোষ ও সঙ্গীতা ঘোষের। ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’র সন্ধান পাওয়া গেল ক্যানিংয়ের ২ নং ব্লকের নারায়ণপুরে। যা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ক্যানিংয়ের এই বাংলো বাড়িটি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নামে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজাতে কেনা হয়েছে কয়েকশো বিঘা জমি। শুধু তাই নয়, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি। স্থানীয় বেশ কিছু যুবক সেখানে ফার্ম হাউস তৈরি করেছেন। কিন্তু পুরোটাই চলতো সন্দীপ ঘোষের নির্দেশ মতোই। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডর নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে।

    সেই সন্দীপ ঘোষেরই একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। বাড়িটির নাম ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। তবে তাঁর সেই বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির লস্কর বলেন, ”তিনি মাঝেমধ্যেই ফ্যামিলি নিয়ে এই নারায়ণপুরের বাংলো বাড়িতে আসতেন। প্রায় দু বছর আগে তিনি এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। সারাদিন থাকতেন। খাওয়াদাওয়া করতেন। দিনের বেলা সময় কাটাতেন, তারপর বেরিয়ে যেতেন।” তবে সেই বাড়িটি এখন তালাবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। যোগাযোগও বন্ধ সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে। আর জি করের ঘটনা ঘটার পর থেকে নারায়ণপুরের সেই বাড়িতে আর যাননি সন্দীপ ঘোষ।

    ইতিমধ্যে কয়েকশো বিঘা জমি ঘিরে রাখা হয়েছে এই বাংলো বাড়িকে কেন্দ্র করে। সব জমি এই সন্দীপ ঘোষের কিনা তা খোলসা করে বলতে পারেননি এলাকার মানুষজন। তবে স্থানীয় মানুষজনরা জানান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই জায়গাটি কিনেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এলাকাটি সোনারপুরের কাছাকাছি হওয়ায় বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ জন। তবে স্থানীয় কোন ও রাজনৈতিক দলের নেতা এই বাংলো বাড়ির রহস্য নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)