এদিন এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, 'আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিত্সকদের কর্মবিরতি কারণে কোন্নগরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ৩ ঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় বিনা চিকিত্সায় পড়ে ছিলেন তিনি'। সঙ্গে বার্তা, 'জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, এমনভাবে প্রতিবাদ করুন,যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্য়াহত না হয়। অবহেলার কারণে মৃত্যু খুনের সমতুল্য। যদি প্রতিবাদ করতে হয়, তাহলে গঠনমূলকভাবে, সহানুভূতি ও মানবিকতার সঙ্গে কথা উচিত। অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে কারও যেন জীবন সংশয় না হয়'।
ঘটনাটি ঠিক কী? হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই যুবক। একটা নয়, দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি! গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। ঘড়িতে তখন ৯টা। আজ, শুক্রবার সকালে ওই যুবককে নিয়ে আরজি করে পৌছন পরিবারের লোকেরা।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, একবার আউটডোর আর এক ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। কিন্তু ভর্তি নেওয়া তো দূর, সকাল ৯ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত পায়ে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছিল রোগীকে। কোনও চিকিত্সা করা হয়নি। এরপর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, 'ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান'। ততক্ষণে প্রবল রক্ত ক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন ওই যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।