• 'পুলিশের কোনও পরিবার যদি ডাক্তারদের সামনে…', আরজি কর কাণ্ডের আবহে বিস্ফোরক কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • কয়েকদিন আগেই লালবাজার অভিযান করে কলকাতার নগরপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে তাঁরই পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। লালবাজারে সেই বৈঠকের সময় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সামনেই টেবিলে রাখা ছিল একটি শিরদাঁড়া। এই আবহে এবার আন্দোলনরত চিকিৎসদের পালটা তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বললেন, 'ভগবান না করুন পুলিশের কোনও পরিবারের কেউ শিরদাঁড়া নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুদের সামনে দাঁড়ান। আর বলেন এই হাসপাতালে এত বেশি বিল করবেন না, অহেতুক পেসমেকার বসাবেন না। যদি শিরদাঁড়া উপহার দিয়ে বলেন, অকারণে ওমুক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করাতে বলবেন না।'

    প্রসঙ্গত, গতকালই অভিযোগ ওঠে, আরজি করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এক যুবকের। এই আবহে তিকিৎসকদের কর্মিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তৃণমূল নেতা বলেন, 'আরজি করে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২৮ বছরের শ্রীরামপুরের এক যুবকের পায়ের ওপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। তাঁকে আরজি করে রেফার করা হয়। সেখান থেকে সকাল ৯টা নাগাদ আরজি করে আনা হয়। ৩ ঘণ্টা সেখানে পড়েছিল। তাঁকে ভর্তি করানো হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, মৃত্যু হয়। সরকারি হাসপাতালে আসার পর যদি এইভাবে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগী পড়ে থাকেন, কারণ কয়েকজন ডাক্তারবাবু কর্মবিরতি পালন করছেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'

    কুণালের কথায়, 'ডাক্তারবাবুদের ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে আমরা সহমত। গরিব মানুষের কথা ভেবে কর্মবিরতিটা বন্ধ করুন। দয়া করে রিলে পদ্ধতিতে কর্মবিরতি করুন।' এর আগে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক লিখেছিলেন, 'জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। কিন্তু তা বলে আন্দোলনের ফলে চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যুও তো অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।' এদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হওয়া যুবকের মা এই বিষয়ে গতকাল বলেন, 'সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে ছেলেটা বেঁচে যেত। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দোষীদের কঠোরতম সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মতো গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। যদি থাকত তাহলে বিনা চিকিৎসায় ছেলেটাকে মরতে হত না।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)