ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আরও বিপাকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁকে শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপ ঘোষকে গত শুক্রবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে বলেই খবর।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করতেন তিনি! পাচারচক্রের শিকড় ছড়িয়ে বাংলাদেশেও! এমনকী,হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্র্য বা বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বাইরে বিক্রি করতেন সন্দীপ! নিজের অতিরিক্ত নিরাপত্তরক্ষীদের কাছে সেই সব সামগ্রী বিক্রি করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর সেই শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশেও! সীমান্তের ওপারে পাচার হত বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও।
চাপের মুখে পড়ে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ‘নৈতিক দায়’কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশিও চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার হন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তবে গতকালই সর্বোচ্চ আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। বলে রাখা ভালো, এর আগেই সন্দীপকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যদপ্তর।