• 'গন্ডারের থেকেও মোটা চামড়া, কোনও প্রতিবাদ এই সরকারকে স্পর্শ করে না'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সাংসদ জহর সরকারের রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা ঘোষণার সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, এই সরকারের নির্লজ্জতার চামড়া এত মোটা যে কোনও প্রতিবাদ এদের স্পর্শ করে না।

    অধীরবাবু বলেন, ‘জহর সরকারের ইস্তফার কোনও প্রতিফলন হবে কি না আমার সন্দেহ আছে। গন্ডারের যেমন চামড়া মোটা হয়, কোনও কিছু ভেদ করে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্লজ্জতার চামড়া এতই মোটা যে কোনও যুক্তি - তর্ক, কোনও প্রতিবাদ, কোনও অনুকম্পা অনুভূতি তাদের স্পর্শ করে না।’

    রবিবার দুপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি ২ পাতার চিঠি লিখে রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেন জহর সরকার। চিঠিতে কেন তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট করেছেন জহরবাবু। তিনি লিখেছেন, সরকারের আরও কোনও বক্তব্যকে বিশ্বাস করছে না জনগণ।

    ২০২১ সালের ৪ অগাস্ট রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেন জহর সরকার। দীনেশ ত্রিবেদীর আগাম ইস্তফায় খালি হওয়া আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত জহর সরকারের সাংসদ পদের মেয়াদ ১ বছর হতে না হতেই রাজ্যে প্রকাশ্যে আসে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি। তৃণমূলের মহাসচিব তথা মমতা মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে ইডি। এর পরও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন জহর সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, যে ভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী সম্পর্কে তথ্য উঠে আসছে ও তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর বন্ধুরা তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তোর কাছেও টাকা এসেছে না কি?’ তবে সেবার জহর সরকারকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরস্ত করতে পেরেছিল তৃণমূল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)