• ‘বিশেষ ইস্যু….’, সন্ধ্যায় তরুণীর ময়নাতদন্তের জন্য চিঠি পুলিশের, চাননি বিশেষজ্ঞ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • কেন সন্ধ্যা ছ'টায় তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল? তা নিয়ে প্রথমদিন থেকেই প্রশ্ন উঠছে। সেই আবহে একটি চিঠি সামনে এল। যা একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য যে দল গঠন করা হয়েছিল, সেই দলের একজন সদস্য তথা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছিলেন যে বিশেষ নির্দেশ না থাকলে বিকেল চারটের পরে পোস্টমর্টেম করা যাবে না। আর তারপরই টালা পুলিশের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। জরুরি পরিস্থিতি এবং কয়েকটি বিশেষ ইস্যুতে বিকেল চারটের পরেও ময়নাতদন্ত করার আর্জি জানিয়েছিল পুলিশ। তারপর সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত হয়েছিল। রাতেই সৎকার করা হয় তরুণীর দেহ। অভিযোগ উঠেছে যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে ময়নাতদন্তের কোনও সুযোগই না থাকে। কারণ অতীতে এমনও ঘটনা ঘটেছে যে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

    ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকেল চারটের পরে যে ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম আছে, সেই নিয়ম স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ রিনা দাস। তিনি জানিয়েছিলেন যে বিকেল চারটের পরে ময়নাতদন্ত করতে গেলে স্পেশাল অর্ডার লাগবে। স্বাস্থ্য দফতরেরও সেই নিয়ম আছে। তাই বিশেষ নির্দেশ না পেলে তিনি ময়নাতদন্ত করবেন না।

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের সেই যুক্তি শোনার পর টালা পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখে টালা থানার ওসি বলেছিলেন যে জরুরি পরিস্থিতি এটা। আর বিশেষ কয়েকটি বিষয় আছে। তাই বিকেল চারটে বেজে গেলেও যেন তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।

    তারপর সেদিন তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরে তাঁর দেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাড়িতে। পরিবারের দাবি, বাড়ির বাইরে তরুণী চিকিৎসকের দেহ দেড় দেড় ঘণ্টা পড়েছিল। ছিলেন না পরিবারের কোনও সদস্য। সেইসঙ্গে পরিবারের দাবি, তাঁরা দেহ দাহ করতে চাননি। কিন্তু পুলিশ এমন চাপ তৈরি করেছিল যে তাঁরা দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)