• প্রেসক্রিপশন, বিলের পর এবার জন্মদিনের মেনু, প্রতিবাদের বার্তা বনগাঁর পরিবারের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এক মাসের ওপর হয়ে গিয়েছে আরজি কর কাণ্ড। নৃশংসভাবে যে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছিল সেই হত্যার বিচার আজও অধরা। 'বিচার চাই', এই দাবিতে কেউ বেরিয়েছে রাস্তায়, কেউ আবার বাড়িতেই আলো নিভিয়ে করেছেন নিরব প্রতিবাদ। তবে এবার বনগাঁর শিক্ষক অভিনব পদ্ধতিতে চাইলেন ন্যায় বিচার।

    ছেলের ৫ বছরের জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন বনগাঁর শিক্ষক উত্তম ভট্টাচার্য। রক্তদান শিবিরের প্রতিটি স্থানে দেখতে পাওয়া গেল ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ লেখা পোস্টার। শুধু তাই নয়, ছেলের জন্মদিনের মেনু কার্ডেও দেখা গেল বিচারের দাবি।

    কলমবাগান কুন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক উত্তম ভট্টাচার্যের ছেলে দেবাঙ্কনের ৫ বছরের জন্মদিন পালন হল ধুমধাম করে। হাজার আনন্দের মধ্যেও উত্তম বাবু ভোলেন নি ন্যায়বিচার চাইতে, আর তাই ছেলের মেনু কার্ড থেকে শুরু করে পাড়ার রক্তদান শিবির, সর্বত্র চোখে পড়ল We Want justice - এর ছবি।

    আনন্দের মাঝেও যে নিজের দায়িত্ব পালন করা যায় তা দেখিয়ে দিলেন উত্তম বাবু। মেনু কার্ডের এক পাশে জায়গা করে নিয়েছে একটি মেয়ের মুখ যার এক হাতে মোমবাতি আর অন্য হাতের তালুতে লেখা, জাস্টিস ফর আরজি কর। উত্তম বাবুর এই অভিনব পদক্ষেপ দেখে ভীষণ খুশি সকলে।

    এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উত্তম বাবু বলেন, ‘দেবাঙ্কন এই বয়সেই সবকিছু বুঝতে পারে। আধো আধো কথায় সেও বলছে আরজি করের কথা। আমাদের এই পদক্ষেপ সারা জীবন মনে থাকবে ওর।’

    কাকা গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আমাদের বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত। বেঁচে থাকাকালীন বাবা বলতেন, পারলে মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করে যেতে হবে। তখন থেকেই মনে মনে সংকল্প ছিল, আজ করে দেখানোর সুযোগ এল।’

    ছোট দেবাঙ্কনের মা সুপর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় আমরা ভীষণভাবে শোকাহত। আমরা সবাই বিচার চাই। আনন্দের মাঝখানেও আমাদের লক্ষ্য যে এক, সেইটুকু বোঝানোর জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।’ প্রসঙ্গত, জন্মদিন উপলক্ষে যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে এসেছিলেন ১০০ জন অতিথি। রক্তদান করার পর সবাই একসঙ্গে বলে ওঠেন, We Want justice।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)