• LIVE: এখনও অনড় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা, দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন
    আজ তক | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান সারা রাত চলল  স্বাস্থ্যভবনের কাছে।  পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ দাবির মধ্যে রয়েছে আরজি কর কাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় তাঁরা। অবস্থানরত চিকিৎসকদের অনেকেই   গিটার বাজিয়ে গানও গাইলেন গোটা রাত। 

    আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ
    অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য।

    দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন 
    অনড় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।  দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানেই বসে থাকবেন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, সরকারের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ্য করলে, তবেই অবস্থান তুলবেন। 

    আজ জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দ্বিতীয় দিন
     মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযান করেন। বিকেল গড়িয়ে রাত থেকে বুধবার সকাল হলেও  স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে সরেননি তাঁরা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে ইস্তফা দিতে হবে। ইস্তফা দিতে হবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁরা স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযানে নেমেছেন। সেইসঙ্গে তাঁদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল, সেটা তো আছেই বলে জানিয়েছেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র প্রতিনিধিরা। 

     ১০০মিটার দূরে চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ
     স্বাস্থ্য কর্তারা খোঁজ নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা রাতে কী খাবেন। কোনও প্রয়োজন আছে কিনা। যদিও এই সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। বস্তুত, এই প্রথম স্বাস্থ্য ভবনে অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য কর্তারা। এদিকে রাতের দিকেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এলেন কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।

     জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে  তিলোত্তমার বাবা-মা
    স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে  সরে যাননি আন্দোলনকারীরা। সেই খবর পেয়েই মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলে আসেন তিলোত্তমার বাবা-মা ও পরিজনরা। তিলোত্তমার কাকিমা বলেন, ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে যাঁরা পারছেন না, তাঁরা কী করে কাজে ফেরার কথা বলেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি।

    জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন: নির্যাতিতার বাবা
     তরুণী নির্যাতিতা  চিকিৎসকের বাবা জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন। এখন যে কথাগুলো বলছেন, সেটা বলার সাহস পাচ্ছেন তাঁদের জন্য। রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, বার্তা দেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা।

    এটাই আমার উৎসব: নির্যাতিতার মা
    জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে বিক্ষোভে এসে নির্যাতিতার মা বলেন, “আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি এখানে। প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলছেন, আমার কাছে এটাই উৎসব।”

    জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডাকা হয়
    জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডেকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে মেল করা হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ইমেল থেকে মেল করায় এবং মেলের ভাষা ‘অপমানজনক’ হওয়ায় 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট'-র তরফে সেই ডাকে সাড়া দেওয়া হয়নি। রাজ্যের দাবি, বৈঠকের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    কর্মবিরতি চলবেই
    মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। প্রতীকী শিরদাঁড়া হাতে লালবাজার অভিযানে যাওয়ার পর এবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানে তাঁদের হাতে দেখা গিয়েছে প্রতীকী মস্তিষ্ক, ঝাঁটা। করুণাময়ী থেকে শুরু হওয়া মিছিল স্বাস্থ্যভবনের কাছে চলে আসে। এর পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। জানিয়ে দেন, দাবি মানা না হলে এখানেই বসে থাকবেন।
  • Link to this news (আজ তক)