সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জের। রোগীমৃত্যু অব্যাহত জেলায় জেলায়। ফের বালুরঘাটে বিনা চিকিৎসায় এক নাবালকের মৃত্যুতে ফের কর্মবিরতিকে দায়ী করল শাসকদল তৃণমূল। এনিয়ে দলের সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেছে। এদিকে, রোগীমৃত্যুর পরিসংখ্যান বাড়তে দেখে স্বাস্থ্যভবন পদক্ষেপ নিল। কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন, দুপুরের মধ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে সেই রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্যভবন।
গত সোমবার বালুরঘাটের বড় রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বছর নয়ের নাবালক শিবম শর্মা পরিবারের সঙ্গে জল ঢালতে রওনা হয়েছিলেন পতিরাম ধামের দিকে। ভোর পাঁচটা নাগাদ রাস্তায় অদূরে একটি টোটো ধাক্কা মারে কয়েকজনকে। তার মধ্যেই ছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম ও তার পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় শিবমকে দ্রুত বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘন্টা দুয়েক মধ্যে নাবালকের মৃত্যু হয়। এর পর জেলা হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে সেই ঘটনা তুলে ধরল শাসকদল তৃণমূল। মৃতের পরিবারের সদস্যের বক্তব্য তুলে ধরে তাদের প্রতিক্রিয়া, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির মূল্য চোকাতে হচ্ছে গরিব মানুষকে। বালুরঘাটে আরও একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের উপলব্ধি করা উচিত তাঁদের কর্মকাণ্ডের প্রভাব কতটা পড়ছে। তাঁদেরই সমাজের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এর পরই এদিন স্বাস্থ্যভবনের তরফে প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে, কজন জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিলেন।