• অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে আনা হলো অসুস্থ কুকুর
    এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, আমতলা: মানুষের জন্য ব্যবহৃত অ্যাম্বুল্যান্সে করে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে কুকুরকে। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত সাতগাছিয়া বিধানসভা বিষ্ণুপুর এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূলের বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের সভাপতি নবকুমার বেতাল ও তাঁর স্ত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সোমাশ্রী বেতাল তাঁদের পোষ্য কুকুরকে মানুষের জন্য ব্যবহৃত অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে এসেছিল আমতলা রুরাল হাসপাতালে।সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর ওই পোস্ট সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।

    ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটে নাগাদ সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নবকুমার বেতাল এবং তাঁর স্ত্রী সোমাশ্রী বেতাল তাঁদের পোষ্যকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারকারী অ্যাম্বুল্যান্সে করে আমতলা রুরাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। হাসপাতালের সুপার-সহ সমস্ত চিকিৎসক এবং নার্সরা বাইরে বেরিয়ে এসে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই কুকুরটির চিকিৎসা করেন সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকি করেন চণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীমতি শুভ্রা ঘোষ।’

    হাসপাতালের সুপার অর্ণব প্রামাণিক অ্যাম্বুল্যান্সে কুকুর আনার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘কুকুরটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। তাকে আবার পশু চিকিৎসালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ঘটনাটি ৯ সেপ্টেম্বরের। সে দিন একটি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালে এলে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বেরিয়ে এসে দেখেন তাতে রোগী নয়, একটি মরা কুকুর রয়েছে। ওই চিকিৎসক অ্যাম্বুল্যান্স চালককে জানান, পাশের পশু হাসপাতালের পরিবর্তে তিনি ভুল করে গ্রামীণ হাসপাতালে চলে এসেছেন। এর পরেই কুকুরের দেহটি নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স আমতলা রুরাল হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়।’

    স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো রিপোর্টে গোটা ঘটনাটির তথ্য বিকৃত করে পরিবেশন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন সিএমওএইচ। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য চিত্তরঞ্জন কাঁড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘মানুষের জন্য ব্যবহৃত অ্যাম্বুল্যান্সে করে কুকুরটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বের নজরে এসেছে। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’

    তবে এই অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য নবকুমার বেতাল এবং তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
  • Link to this news (এই সময়)