• মুর্শিদাবাদে থাকাকালীন রূপান্তরকামীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক সন্দীপের!
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অভিষেক পাল, বহরমপুর: আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নয়া কু-কীর্তি ফাঁস! রূপান্তরকামীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত ছিলেন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সন্দীপ। ক’দিন আগে সন্দীপকে নিয়ে একটি খবর ভাইরাল হয়। বিদেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত এক সেমিনারে গিয়ে যুবকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদের এক রূপান্তরকামীর বিস্ফোরক অভিযোগে বিদ্ধ হলেন সন্দীপ। যা প্রকাশ্যে আসতেই তাজ্জব নেটিজেন থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীরাও।  

    কী সেই অভিযোগ? একদা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই সময় একাধিক রূপান্তরকামীর সঙ্গে আদিম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতেন ‘ডাক্তারবাবু’। এমনটাই  অভিযোগ বহরমপুরের ওই রূপান্তরকামী কাজি আলি আফতাবের। রবিবার তিনি রাখঢাক না করেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার জানা তিনজন রূপান্তরকামীর সঙ্গে সন্দীপ যৌন সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। এমনকী, চরম মুহূর্তে তাঁদের সঙ্গে পৈশাচিক, নৃশংস আচরণও করতেন। সে সময় ওঁর বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করতে ভয় পেয়েছিলেন অত্যাচারিতরা। কারণ, উনি খুব প্রভাবশালী।’ 

    আফতাব নৃত্যশিল্পী। জেলায় তাঁর নামডাকও রয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ,  বহরমপুরে থাকাকালীন অনেকের সঙ্গে অসভ্যতা করেছেন বলে ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। উনি একজন সমকামী পুরুষ। মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করার সুবাদে উনি ফেসবুক থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের নম্বর জোগাড় করে তাঁদের ফোন করতেন। কোয়ার্টারে ডাকতেন। সেখানে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। ওঁর যৌনতা ছিল বিকৃত প্রকৃতির। কামড়ানো, আঁচড়ানো, খামচে রক্ত বের করে দেওয়া প্রভৃতি করতেন। কোনও রূপান্তরকামী একবার ওঁর কাছে গেলে দ্বিতীয়বার আর ভয়ে যেতেন না। আফতার বলেছেন, ‘আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করছে। সেই তদন্তে সন্দীপের এহেন আচরণকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আমি আশা করছি।’ 

    এখানেই থেমে থাকেননি আফতার। তিনি বলছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে থাকার সময়ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সন্দীপ। এখানে যাঁদের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা কেউই থানায় যেতে পারেননি। কারণ, তাঁদের সেই অবস্থা ছিল না। একজন প্রভাবশালী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে কে শুনবে? তাছাড়া থার্ড জেন্ডার কেউ যদি বলেন, তিনি ধর্ষিত হয়েছেন সেটা আমাদের এই সমাজে কেউ বিশ্বাসই করবে না!’

    সন্দীপের এই নয়া কুকীর্তি ফাঁস করতে গিয়ে আফতাব জানিয়েছেন, ফেসবুক প্রোফাইলে ভালো ছবি দিয়ে বিভিন্ন সমকামীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন সন্দীপ। কেউ অ্যাকসেপ্ট করলেই তাঁর সঙ্গে মেসেজে আলাপ জমাতেন। তারপর নম্বর বিনিময় করে সরাসরি কু-প্রস্তাব দিতেন। অনেকেই তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিতেন না। তাই পদ্ধতি বদল করে শুধু দেখা করার জন্য অনেককে ডেকে পাঠাতেন। কখনও নিজের ফ্ল্যাটে। আবার কখনও হোটেলে তাঁদের ডাকা হতো। এভাবেই পরপর তিনজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন বলে অভিযোগ আফতাবের। 
  • Link to this news (বর্তমান)