আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। রাজ্য সরকারের পঞ্চম চিঠিতে সাড়া আন্দোলনকারীদের। ২ ঘণ্টার বেশি আলোচনা হয়েছে। তাঁদের ৩ দাবি মেনে রাজ্য। তবু আপাতত কর্মবিরতি উঠছে না। আজ দিনভর কী হল, রইল আপডেট।
রাত ১.৩২: মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে বলেন,” দীর্ঘ ৩৮ দিনের জুনিয়র ডাক্তারদের (WBJDF এর নেতৃত্বে) এক ঐতিহাসিক আন্দোলন বিজয়ের মুখ দেখল। তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মানতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা দেখলাম আন্দোলনই পারে, জয় ছিনিয়ে আনতে। এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত দাবি পূরিত হয়নি , অভয়ার প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়েনি তার জন্য আন্দোলনকে চালিয়ে যেতে হবে। এই ঐতিহাসিক আন্দোলনে যে জয় সূচিত হয়েছে তার জন্য জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, মেডিকেল স্টুডেন্টস, নার্স, প্যারামেডিকস, সাংবাদিক বন্ধু সহ সমস্ত স্তরের সকল জনসাধারণ কে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।”
রাত ১.০০: তবে গুটিকয়েক আন্দোলনকারীর দাবি, স্বাস্থ্যভবনে দুর্নীতি চক্র ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রাস্তা থেকে সরবেন না চিকিৎসকরা।
রাত ১২.৫৫: আন্দোলনকারী অনিকেত মাহাতো বললেন, “বার বার আমরা বলেছি আলোচনায় বসতে চাই। আমাদের যে সদিচ্ছার অভাব ছিল না সেটা দেখিয়েছি। ৮ দিনের তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে সিএম এটা বলতে বাধ্য হন যে সিপি কে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা মনে করি এটা সকলের জয়, ডাক্তার, সিস্টার, সাধারণ মানুষের। তাঁদের সমর্থন না থাকলে এটা আমরা করতে পারতাম না। এই সন্দীপ ঘোষের এত বাড়বাড়ন্ত কার জন্য সেটা আমরা বলেছি।”
“প্রথম যে কথাটা বলে নেওয়া দরকার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন সিপিকে অপসারণের। যে দাবি আমরা প্রথম দিন থেকে করছি। তাঁকে তিনি সরিয়ে দেবেন। আজ সেটা হয়েছে। এটা আন্দোলনের বড় জয়।”
“স্বাস্থ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়াও একটা বড় জয়।”
“ডিসি নর্থ অভয়ার বাবা-মা কী টাকা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
“আমাদের আন্দোলনের চাপে একপ্রকার নতি শিকার করল রাজ্য প্রশাসন।”
“এই যে দুর্নীতি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাট যে দুষ্ট চক্র তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তার উপর আলোচনা আবার হবে বলে জানানো হয়েছে। এর বাস্তবায়ন যতক্ষণ না পাব ততক্ষণ এই কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না।”
“কাল শুনানি হবে। তার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।”
রাত ১২.৪১: “প্রতিশ্রুতি মৌখিক। বাস্তবায়ন যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ এই কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না।কাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। তার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।” জানিয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা।
রাত ১২.১৫: জয়োল্লাস ধরনা মঞ্চে। উঠছে স্লোগান-‘সিন্ডিকেটের সাফাই হল, আন্দোলনের জয় হল।’ ‘আন্দোলনের জিতল কে? তুমি-আমি আবার কে! আমজনতা আবার কে।’
রাত ১১.৫৬: স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে সরাচ্ছে রাজ্য। সরছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারও। সরছেন নর্থ ডিসিও
রাত ১১.৫৪: বৈঠকের মিনিটসে স্বাক্ষর করেছেন আন্দোলনকারীদের তরফে ৪২ জন ও রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
রাত ১১.৪৮: জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, “কিছু মিল, কিছু অমিল। কিছু সদর্থক আলোচনা। কিছু জিনিস মানা হয়েছে। অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হয়নি। আমরা ধরনা মঞ্চে বলব।” কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়ে দিলেন তাঁরা।
রাত ১১.৪৪: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
রাত ১১.০০: এখনও চলছে বৈঠকের মিনিটস লেখার কাজ। নিজের অফিসেই অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাত ১০.০০: জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তিনি।
রাত ৯.৩৫: সূত্রের খবর, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা যে দাবি তুলেছেন, তা মেনে নিয়েছে রাজ্য।
রাত ৯.১০: বৈঠকের মিনিটসে স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়া চলছে।
রাত ৯.০০: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলির মুখে মমতার সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হাজির এক কলেজ ছাত্রী। হাজরা কলেজের আইনের ছাত্রী ঋতিকা সরকারের দাবি, তিনিও বিচার চান। তবে সোশাল মিডিয়া-সহ একাধিক জায়গায় যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে, তার বিপক্ষে তিনি। ওই ছাত্রীর আরও দাবি, তিনি তৃণমূল করেন। কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষ হিসেবেই এসেছেন।
রাত ৮.৪৭: বৈঠক শেষ। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। গলির মুখ থেকে বাস সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নিয়ে যাওয়া হল।
রাত ৮.১০: পৌনে ২ ঘণ্টা ধরে চলছে বৈঠক। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার দাবিতে অনড় ডাক্তররা।