শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: গত কয়েকদিনের বৃষ্টি। তার উপরে ডিভিসি থেকে ছাড়া জল। এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ ঘাটাল। জল যন্ত্রণায় নাকাল বহু মানুষ। দু্র্যোগের এই সময়ে ঘাটাল পৌঁছে গিয়েছেন সাংসদ দেব। সোমবার কেশপুর, কলাগ্রাম, দাশপুর-সহ নানা এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘাটালের পরিস্থিতি নিজে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে প্রশাসন এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলেও জানান।
নিম্নচাপের বৃষ্টি ছিল টানা ৩ দিন। অসময়ের বৃষ্টিতে জলমগ্ন বহু এলাকা। নিচু এলাকাগুলি রীতিমতো প্লাবিত। বেশ কয়েকটি এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জলবন্দি বহু মানুষ। সোমবার একাধিক জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন দেব। তার পর এলাকার প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হতে পারে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় তারকা সাংসদ। জানান, এটা তাঁর কাছে একটা মানসিক চাপ। কারণ ইতিমধ্যেই যে জল ছাড়া হয়েছে তাতেই ঘাটালের পরিস্থিতি বেশ খারাপ।
তবে সোমবার তেমন বৃষ্টি হয়নি। তাতেই একটু স্বস্তিতে দেব। তা জানিয়েই তিনি বলেন, “বন্যার সময় জলের সমস্যা বেশি হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিপদ থাকে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে না পারলেও এমন জায়গায় থাকব যেখান থেকে সমস্তটা বুঝতে পারব।”
এর পরই আবার তিনি বলেন, “মানুষকে যেন পরিষেবা দিতে পারি। দুর্যোগের মধ্যে মানুষ যেন বেঁচে থাকার সাহস পায়। এত বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন প্রস্তুত যেকোনও দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য।”
এদিকে বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক আগেই স্বস্তির খবর জানিয়েছে আলিপুরের আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে দেখা মিলতে পারে রোদেরও। শনিবার পর্যন্ত সেভাবে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর। তবে বৃষ্টি কমলেই কলকাতায় ফের আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ফিরবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।