অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হলেও তারা দুজনে সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে যুক্ত নন। কারণ, এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই শিয়ালদহ আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আগামী ৩ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত।
এর পর অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী শুনানিতে তাঁর মক্কেলের গ্রেপ্তারির পদ্ধতিগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর মক্কেল তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন না। তিনি সহযোগী। পদ্ধতি মেনে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এর পর বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে । এটা গুরুতর অভিযোগ। আপনাদের কাছে কি এমন কোনও তথ্য আছে যে ওই দুজনে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?”
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই আদালতে জানায় সিবিআই। বিচারক সিবিআইকে জানান, যদি এমন কোনও তথ্য পান, তাহলে আলাদা FIR হয়নি কেন? সিবিআই এর পর দাবি করে, “হতে পারে এই ঘটনার আগে কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে। সন্দীপ ইচ্ছাকৃতভাবে এফআইআর করতে দেননি। তবে ওসি কেন এফআইআর করলেন না, কে আটকাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এর পরই দুজনকে ফের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সিট সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। সঞ্জয়ও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকেও তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গ্রেপ্তার করে। তবে সরাসরি তাঁরা খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত নন বলেই আদালতে দাবি সিবিআইয়ের।