• বিধায়ক সুদীপ্তর বাগানবাড়িতে তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত নথি
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: হুগলির দাদপুর থানার দাঁড়পুর গ্রামের বিরাট বাগানবাড়িতে মঙ্গলবার সকাল সকাল একাধিক গাড়ি, সিআইএসএফ জওয়ানদের দেখে চমকে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা। বিরাট কালো লোহার গেটে লোহার পাত বসিয়ে সেখানে লেখা রয়েছে বসুরায়। গাড়ি থেকে ইডি আধিকারিকদের নামতে দেখে স্বভাবতই কৌতূহলী ভিড় বাড়ে। ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে খবর। শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়ের বাগানবাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। হ্যাঁ, বাগানবাড়িই বটে। বিরাট জায়গাজুড়ে সাদা উঁচু প্রাচীর ঘেরা বাড়ি। সকাল সকাল সেখানে চরে বেড়াচ্ছিল খরগোশ, মুরগির মতো পোষ্য। বাগানবাড়ির জলাশয়ে হাঁস।

    তবে পৌঁছনোর অনেক পরে সেসব প্রত্যক্ষ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। কারণ, দীর্ঘসময় বাগানবাড়ির ‘সিংহদরজা’ কেউ খোলেনি। বহু ডাকাডাকির পরে বাগানবাড়ির কেয়ারটেকার এসে দরজা খুলে দেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইডির তদন্তকারীরা সেখানে ছিলেন। বাগানবাড়ির কেয়ারটেকারকেও তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুপুরের পরে ইডি আধিকারিকরা সদলবদলে এলাকা ছাড়েন। ততক্ষণ এলাকায় বহু মানুষ ভিড় করে ছিলেন। ইডি আধিকারিকরা এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্তের সূত্রেই তাঁরা মঙ্গলবার সুদীপ্তবাবুর বাগানবাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক। এদিন কিছু নথি ইডি অফিসাররা বাজেয়াপ্ত করলেও, তা তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, স্পষ্ট হয়নি। ইডির অভিযান প্রসঙ্গে সুদীপ্তবাবু বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করব আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এদিন বাগানবাড়ির মালি তরুণ পাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ‌ইডি আধিকারিকরা। মালি বলেন, আমি প্রায় আড়াই বছর কাজ করছি। আমার কাজ সম্পর্কে, বাড়িতে কে কে আসতেন, সেসব বিষয়ে অফিসাররা জানতে চেয়েছিলেন। আমি যা জানি তা বলেছি। 

    তরুণবাবু থেকে স্থানীয় অনেকেরই কাছে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তবাবু স্ত্রীকে নিয়ে প্রায়শই আসতেন। তাঁর চিকিৎসক ও রাজনৈতিক সহকর্মীদেরও ওই বাড়িতে দেখা গিয়েছে। ২০০৮ সালে সুদীপ্তবাবু বাড়িটি কিনেছিলেন। প্রথমে নার্সিংহোম করার কথা চাউর হলেও পরে তা বাগানবাড়ি হয়ে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)