ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চলতি মাসের ১০ তারিখ। সে ছিল এক মঙ্গলবার। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন তাঁদের নিশানায় ছিল রাজ্য সরকার। আর ১১ দিন পর, আজ যখন নিজেদের দাবিপূরণের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের তির ঘুরে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে। শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে শোনা গেল অন্য স্লোগান ? ‘আর কত দিন সময় চাই? জবাব দাও সিবিআই’।
গত ৯ সেপ্টেম্বর, আর জি কর কাণ্ডের শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। পালটা রাজ্যকেই ডেডলাইন বেঁধে দেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের পাঁচ দাবি মানতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ? এই তিনজনের পদত্যাগ। এনিয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানেরও ডাক দেন। সেই মতো ১০ তারিখ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত সামনে অবস্থান চালিয়ে যান তাঁরা। সেই চত্বর তখন মুখরিত ছিল সরকার বিরোধী সমস্ত স্লোগানে। আর ১১ দিন পর সমস্ত দাবিদাওয়া মিটে যাওয়ার ফলে সেই অবস্থান বিক্ষোভে ইতি পড়ল। শুক্রবার সমস্ত গুটিয়ে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর সেখানেই ধরা পড়ল মুড বদলের চিত্র।