• শিক্ষাকেন্দ্রেও কেন জিএসটি নম্বর, এনসিটিই’কে চিঠি দিচ্ছে রাজ্যের বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলি
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জমা দিতে হবে নন-প্রফিট বা লাভবিহীন সংস্থার শংসাপত্র। পাশাপাশি থাকতে হবে জিএসটি নম্বর। শিক্ষক শিক্ষণের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিইর নির্দেশে অদ্ভুত দ্বন্দ্বে পড়েছে রাজ্যের হাজারের বেশি বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজ। এনসিটিই পারফর্ম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (পার) হিসেবে কলেজগুলির কাছে যে তথ্যাদি চেয়েছে, তাতে সেই শংসাপত্রের কথা বলা হয়েছে। আবার অনলাইনে সেসব জমা দিতে গেলে আবশ্যিকভাবে জিএসটি নম্বর দিয়েই খুলতে হচ্ছে পোর্টাল।


    শিক্ষা বাণিজ্য না সেবা, সেই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এমনিতে শিক্ষাক্ষেত্র জিএসটির আওতায় পড়ে না। সেটা বেসরকারি ক্ষেত্র হলেও নয়। কারণ, শিক্ষাকেন্দ্রগুলি চলে সোসাইটি বা ট্রাস্টের মাধ্যমে। জিএসটি আইন অনুযায়ী সেগুলি ছাড়ের তালিকায় থাকে। তাই কলেজের কর্ণধারদের বক্তব্য, একদিকে এনসিটিই নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে শংসাপত্র চাইছে। আবার, জিএসটি নম্বরও চাইছে। এটা হতে পারে না। 


    এই ব্যাপারে এনসিটিইর কোনও বক্তব্য সেভাবে না-পাওয়া গেলেও জিএসটির আধিকারিকরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষাদান ছাড়াও নানা কর্মকাণ্ড থাকে বলেই ধরে নেওয়া হয়। তা ক্যান্টিন চালানো থেকে ইউনিফর্ম বা বই ও স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রি, পরিবহণসহ অন্যান্য পরিষেবাও রয়েছে। এগুলি থেকে বাড়তি আয় হয় প্রতিষ্ঠানগুলির। সেই কারণে বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা বা বেশি টার্নওভার থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও জিএসটি নম্বর নিতে হবে।


    কলেজগুলির বক্তব্য, তাদের অধিকাংশেরই ক্যান্টিন নেই। বই কলেজ কেনে লাইব্রেরির জন্য। শিক্ষক শিক্ষণ সংক্রান্ত কোনও বইই কলেজগুলি বিক্রি করে না। ইউনিফর্মও নেই অধিকাংশ কলেজে। আর বাস বা গাড়ি গিয়ে পরিবহণ পরিষেবা কোনও কলেজই ভাবতে পারে না। ফলে, অন্তত এরাজ্যের বিএড বা ডিএলএড কলেজগুলির কর্মকাণ্ডই সীমিত থাকে পড়ুয়া ভর্তি, টিউশন ও অ্যাডমিশন ফি আদায় এবং পাঠদানে। তাদের কেন জিএসটি রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলছে তারা। ইউনাইটেড এডুকেশন ফোরামের শীর্ষনেতা তপন বেরা বলেন, ‘সমস্ত কলেজগুলিই এর ফলে সমস্যায় পড়েছে। আমরা এনসিটিইর কাছে এই শর্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)